আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার দুপুরে সিলেট বিভাগের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, “ভোটকেন্দ্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার। তাই আনসার সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। সেনাবাহিনী থাকবে মোবাইল ডিউটিতে, আর নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও এপিবিএন সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবে।”
পুলিশের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকারের মতো বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে চার হাজার পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে, আরও কয়েকটি ব্যাচ পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকে তিনি ‘দুর্ভাগ্যজনক’ উল্লেখ করে বলেন, সরকার ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মনে করেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
৫ আগস্টের পর লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সরকার সচেষ্ট জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধার অব্যাহত আছে। তথ্য প্রদানকারীদের পুরস্কৃতও করা হবে।
সিলেটের সাদা পাথর লুট প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি সময় বাড়িয়েছে এবং খনিজ সম্পদ অধিদপ্তর বিষয়টি দেখছে। দায়ীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
দুই দিনের সফরে শনিবার রাতে সিলেটে পৌঁছান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রোববার তিনি বিভাগীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।