ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০২৫ — বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, বিএনপি জনগণের চাপে পড়ে গণভোটে রাজি হয়েছে, তবে এখন আবার প্যাঁচ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “আমরা এ বিষয়ে কোনো প্যাঁচ বুঝি না।”
বুধবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। ডা. তাহের জানান, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সরকারের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। দীর্ঘ আলোচনা শেষে সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি সনদে স্বাক্ষর করেছি।”
তিনি বলেন, আলোচনায় ৮০টির বেশি বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষ এবং এসব বিষয়ে দ্রুত আইনি ভিত্তি দিয়ে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জরুরি বিষয়গুলো বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
ডা. তাহের জানান, প্রধান উপদেষ্টা বাস্তবায়নের ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, “এগুলো সংবিধানের অংশ না হলেও আদেশের মাধ্যমে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া সম্ভব। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা সে উদ্যোগ নেবেন।”
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন দুটি আলাদা বিষয়। আগে গণভোট হতে হবে, যাতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা যায়।”
নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের অনেকে একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন। তাই নির্বাচনপূর্ব রদবদল প্রয়োজন। প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে কর্মকর্তাদের বদলি করতে হবে, যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনায় যায়নি বলেও জানান তিনি, কারণ বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নোয়াখালীর ছাত্রশিবিরের কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে বিএনপি হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনের আগেই যদি এ ধরনের হামলা হয়, তাহলে নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি কেমন হবে তা ভাবার বিষয়।”
শেষে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকতে বলেছি, কারণ তাঁর পাশে থাকা কিছু ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট দলের স্বার্থে কাজ করছে।”