Array

ইসলামী ব্যাংক-ইবনে সিনার কাউকে ভোটগ্রহণে চান না বিএনপি
নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষায় বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বাদ দিতে ইসিতে দাবিপত্র
স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ট্রাস্টসহ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের কাউকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে না রাখার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপির তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল এই দাবি জানায়।
বিএনপি প্রতিনিধি দলটি বৈঠকে অংশ নেয় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের আরও দুই সিনিয়র নেতা। বৈঠকে তারা ৩৬ দফা করণীয় প্রস্তাবনাসহ একটি কার্যপত্র নিয়ে আসেন।
‘দলীয় প্রভাবমুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে’
কার্যপত্রে বিএনপি দাবি জানায়—
> “নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনেল যেমন প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, যেগুলো সর্বমহলে দলীয় বা বিতর্কিত হিসেবে পরিচিত।”
বিএনপি উদাহরণ হিসেবে ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা ট্রাস্ট-এর কর্মকর্তাদের কথা উল্লেখ করেছে।
কার্যপত্রে আরও বলা হয়েছে,
> “ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং এসব শূন্যপদে দলীয় লোক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে—এমন জনশ্রুতি রয়েছে। তাই ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্বাচনি দায়িত্ব দেওয়া হলে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
‘কোনো প্রস্তাব দিইনি’—ড. মঈন খান
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন,
> “আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দিইনি। তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।”
তবে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের জন্য প্রণীত ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে করণীয় প্রস্তাবসমূহ’ শীর্ষক লিখিত কার্যপত্রটি দলটির কাছে প্রস্তুত থাকলেও, তা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসিতে জমা দেওয়া হয়নি।
‘বিতর্কিত কাউকে ভোটের দায়িত্বে নিয়োগ নয়’
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ড. মঈন খান বলেন,
> “আমরা চাই নির্বাচন কমিশন এমন কাউকে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে না রাখুক, যার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিতর্ক আছে। নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন,
> “আমাদের লক্ষ্য একটাই—দেশে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সেই লক্ষ্যেই আমরা কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি।”