
জাতীয় সংহতি দিবস ঘিরে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা
জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস (৭ নভেম্বর) উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল জানান, কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর পর্যায় পর্যন্ত নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “জাতীয় সংহতি দিবস আমাদের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। আমরা এই দিনটিকে স্মরণ করি দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ঐক্যের চেতনা জাগিয়ে তুলতে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”
এর আগে সকালে আলাদা এক কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার জুলাই সনদ ইস্যুতে নীরব থেকে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, “জুলাই সনদ প্রশ্নে বিএনপি যদি প্রতিবাদের পথে নামতো, এই সরকার টিকতে পারতো না। আমরা সংঘাত চাই না, বরং এই সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি।”
গয়েশ্বর আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির রাষ্ট্রক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠায় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দলটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তার ভাষায়, “আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই পরিবর্তন চাই। সরকারের উচিত সংলাপ ও সমঝোতার পথ বেছে নেওয়া।”
দলীয় সূত্র জানায়, ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল,
শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন,
গণসংযোগ ও প্রচার কার্যক্রম,
এবং কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে একযোগে বিশেষ আয়োজন।
বিএনপি নেতারা জানান, সারাদেশে দলের শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে, যাতে জাতীয় সংহতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।