
সরকারি ভবনে গ্রীন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকা, রোববার: টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলতে সরকারি ভবনগুলোতে ‘গ্রীন বিল্ডিং’ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, “সরকারি ভবনগুলোতে মানদণ্ড নিশ্চিত করা গেলে বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে। পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।”
রোববার আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রীন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালা’-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “শুধু রঙ বা সার্টিফিকেশন দিলেই কোনো ভবন ‘গ্রীন বিল্ডিং’ হবে না। পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ—সব ধাপেই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও ধারণার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে জ্বালানি সাশ্রয় হবে, একই সঙ্গে নগর পরিবেশও হবে বাসযোগ্য।”
ঢাকার খাল-নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং নগর তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দেন, যেখানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি থাকবে। এই কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ ও বাস্তবায়ন তদারকিতে কাজ করবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই-এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান, স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকরা।