মোঃ নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ সত্যি অসাধারণ দৃশ্য। ফুটে থাকা
সূর্য্যমুখী ফলগুলি আকষ্মিত করে তুলছে ফুল প্রেমিদের। কাহারোল বিভিন্ন
গ্রাম অঞ্চল ক্রমেই আলোচিত হচ্ছে যাতায়াতকারী পথচারী এবং স্থানীয়
কৃষকদের মাঝে।দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে
বাজারে থাকা তেলের বিকল্প হিসেবে সূর্য্যমুখীর পরীক্ষামূলক চাষ করা হচ্ছে
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে।
নতুন এ ফসলে সম্প্রসারণ ঘটিয়ে স্থানীয় ভাবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সূর্য্যমুখীর
তেল উৎপাদন করে শারীরিক সুস্থ্যতা ও সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের স্বপ্ন
দেখছেন সূর্য্যমুখী চাষীরা। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বেশ কিছু গ্রামে
১৫ হেক্টর জমিতে চলতি বছরে প্রথম বারের মত সূর্য্যমুখী চাষ করছে ১’শ ২০
জন কৃষক । সূর্য্যমুখী চাষের সম্প্রসারণ ঘটাতে কাহারোল উপজেলা কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রনোদনা হিসেবে ১’শ ২০ কৃষিদের মাঝে এক
কেজি করে সূর্য্যমুখী বীজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এসব খেতে ফুল আসায়
ফুলের সাথে চাষীর মুখেও হাসি ফুটেছে। নতুন ফসল সম্পর্কে কাটনা
গ্রামের নির্মল চন্দ্র রায় ও সন্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আগে কখনো
সূর্য্যমুখী চাষ করিনি। শুধু সুর্য্যমুখী চাষ আর সূর্যমুখী তেলের কথা
শুনেছি। নির্মল চন্দ্র জানান, এবার তিনি ৩৩ শতক জমিতে সুর্য্যমুখী চাষ
করেছি। অপর চাষী সন্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, আমি ৪০ শতক জমিতে সুর্য্যমুখী
চাষ করেছি ভাল হয়েছে ফলন ভালো হবে, লাভ ভালো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
আগামী দুই মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যাবে বলে জানান, কৃষি উপ-
সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন। কাহারোল উপজেলা কৃষি
কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ সাদেক জানান, মানব দেহে নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা
পূরণ ও বাজারে থাকা ভোজ্য তেলের বিকল্প হিসেবে এবং সূর্য্যমুখী চাষের
সম্প্রসারণ ঘটাতে চলতি মৌসুমে ১৫ হেক্টর জমিতে ১’শ ২০জন কৃষকে
সুর্য্যমুখী চাষ করার সকল প্রকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চাষীদের এসব ফসল
বাজার জাত করতে কৃষি অফিস সার্বিক সহযোগীতা করছে। পাশাপাশি
সূর্য্যমুখী বীজ থেকে স্থানীয় তেল তৈরীতে আগ্রহী ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান
অব্যাহত রয়েছে। কাহারোল উপজেলায় নতুন এই ফসলটি সম্প্রসারণ ও উন্নত চাষ
পদ্ধতি ব্যবহারে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান তিনি।