• সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা,,, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না”— বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ঘোষণা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ,,,

ভোলার লালমোহনে আবাসনের ঘর বিক্রির হিড়িক ! গনিমতের মাল, দেখার কেউ নেই দৈনিক ক্রাইম বাংলা।  

রিপোর্টার: / ৩৬২ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

লালমোহন প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনের লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ আবাসনের নতুন পুরাতন ঘরগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন যাদের নামে ঘরগুলো বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তারা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় অনেক পূর্বে সৈয়দাবাদ আবাসেনে সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে স্থানীয় ভুমিহীনদের থাকার জন্য আবাসনের ঘর দেয়া হয়। কিন্তু যারা এই ঘরগুলো পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই স্বচ্ছল পরিবার, তারা নিজেরা আবাসনের ঘরে থাকত না । তারা সরকারি বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করার জন্য নিজেদের নামে ঘরগুলো বরাদ্ধ নেয়। আস্তে আস্তে ঘরগুলো পুরানো হওয়ায় এবং ঘরের উপরের টিনে মরিচা পড়ার কারনে ঘরের মালিকগণ ঘরগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। সৈয়দাবাদ মহিলা মাদ্রাসার পূর্ব দক্ষিণপাশে একটি আবাসনে দশটি ঘর ছিল এখন একটিও নেই। আবাসনের বেড়া, ঘরের উপরের টিন, কাঠ, লোহার ফ্রেমগুলো কেটে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এখন শুধু পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে। পিলারগুলোর উপর চোঁখ পড়েছে স্থানীয় কিছু পাতি নেতার। তারা আস্তে আস্তে এগুলোকে উঠিয়ে বিক্রি করার ধান্দা শুরু করছে। ২৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে পিলার উঠাতে দেখা গেছে একজন লোককে। কেন পিলার উঠাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করতেই বলল আমি গরুটা বেধে আসি বলেই চলে গেল। স্থানীয় বাসিন্ধাদের সাথে আলাপ করে জানা গেল অনেক আগেই আবাসনের ঘরগুলো মালিকরা বিক্রি করে দিয়েছে। এখন পিলারগুলো নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় অনেকেই জানান যারা প্রকৃত আবাসনের ঘর পাওয়ার কথা তারা ঘর না পেয়ে পেয়েছে যাদের ঘর দরকার নেই তারা। তাই তারা ঘর পেয়ে এখন বিক্রি করে দিচ্ছে। অথচ এখনও অনেকে কষ্ট করে অন্যের জায়গায় থাকতে হচ্ছে। সরকার সবকিছু দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু সুষম বন্টনের অভাবে সরকারের অনেক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।
একই এলাকার মিজানের বাড়ীর পূর্বপাশে আবাসনের দুইটি নতুন ঘর ছিল। দুইটি ঘরই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানাল এই ২টি আবাসনের ঘর বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।  ঘরগুলো ভেঙ্গে পিলারগুলো পুকুরের দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছে। লোহার ফ্রেমসহ অনান্য মালামাল উত্তর পাশের আবাসনের একঘরের সামনে রাখা হয়েছে। টিনগুলো আবাসনের আরেক বাসিন্ধা হোন্ডা ড্রাইভার হানিফের বাসায় পাওয়া যায়। হানিফকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন আমার আতœীয় ছালাউদ্দিন ও শাহীনের নামে বরাদ্ধকৃত আবাসনের ২টি ঘরের টিন আমার এখানে রয়েছে। ভিটা উচু করার কারনে তারা ঘরগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে। ভিটা উচু করা হলে ঘরগুলো আবার সেখানে করা হবে। ঘরগুলো বিক্রি করার বিষয়ে হানিফ অস্বীকার করেন। ঘরের মালিক ছালাউদ্দিন ও হানিফ কে ঐ এলাকায় পাওয়া যায়নি।
সৈয়দাবাদ আবাসনের সরকারি ঘর বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন আবাসনের ঘর কখনও বিক্রি করার সুযোগ নেই। ঘর পুরানো হলে মেরামত করে ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু  বিক্রি করতে পারবে না। সরকারি আবাসনের ঘর কোন অবস্থাতেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। ব্যাক্তিগত জমিতেও যদি আবাসনের ঘর করা হয়ে থাকে তাহাও বিক্রি/হস্তান্তরের সুযোগ নেই। শুধুমাত্র উত্তোরাধিকার সুত্রে হস্তান্তর করা যাবে। যদি কারও আবাসনের ঘর প্রয়োজন না হয় তাহলে সে ফেরত দিবে আমরা অন্য আরেকজনকে যার প্রয়োজন তার কাছে হস্তান্তর করব।  যদি কেউ বিক্রি/হস্তান্তর করে থাকে তাহলে সে অন্যায় করেছে। এসমস্ত অন্যায়কারীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ