সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাকে মেরে ফেললে ৩জনকে মেরে ফেলার জন্য তোমরা প্রস্তুত থাক। লাইভে তিনি ৩ জনের নাম বলেছেন, তারা হলেন- আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের ও নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। আমার ঘরে শত্রু বিভীষণ। আজকে ঘরের শত্রু আমাকে শেষ করে দিয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আজ আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কি জন্য নিয়েছে আমি ওনার ও ওনার স্ত্রীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। ওনাদের আমলনামা আমার হাতে আছে। আমি এখনও জনসম্মুখে তুলে ধরেনি, সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেনি। ওবায়দুল আমার আত্মীয় স্বজনকে প্রভাব খাটিয়ে, অর্থ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান করিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছে। ৯০ ভাগ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ আমার পক্ষে আছে।
তিনি শনিবার দুপুর ১২টায় পৌরসভা কার্যালয়ে ৫৬ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের পুরো সন্ত্রাসী চক্র আমার প্রতিপক্ষ অপরাজনীতির হোতাদের সাথে আছে। তাদের একটি পরিকল্পনা, মির্জাকে এখান থেকে সরিয়ে দিতে পারলে তারা কোম্পানীগঞ্জে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। হেফাজতে ইসলাম ও আমার বিরুদ্ধে।
মির্জা কাদের ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে করে আরও বলেন, আপনার স্ত্রী ইশরাতুন্নেছা কাদের মিজানুর রহমান বাদলের ১নম্বর পৃষ্ঠপোষক। বাদল উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ২হাজার নারীর চরিত্র নষ্ট করেছেন। কাদের সাহেব আপনার বাসার কাজের লোক পর্যন্ত একরাম নিজামের মাসোয়ারা খায়।
তিনি বলেন, সরকার পরিচালনা করার জন্য একটি টিম ওয়ার্ক দরকার। আ’লীগের শেখ হাসিনা, বিএনপির খালেদা জিয়ার বাহিরে কিছুই নেই। এখন ওয়ান ম্যান শোর রাজনীতি চলছে। শেখ হাসিনার বাহিরে কোন নেতা দলের জন্য কাজ করে না। দলের তোষামোদকারীরা এক সময় খন্দকার মোস্তাকের ভূমিকা পালন করবে। নেত্রী আপনাকে এটা স্মরণ রাখতে হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, নেত্রী আপনার জীবন সায়াহ্নে ১৫ বছর ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে অপরাজনীতির হোতাদের খাওয়াছেন। তারা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? ওবায়দুল কাদেরের মত তোষামোদ কারীদের আর খাওয়াইয়েন না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন, আপনি মানুষের হৃদয়ে চিরদিন থাকবেন। এখন থেকে ভালো মানুষকে সিলেক্ট করুন দেখবেন আগামী নির্বাচনে আপনার দল ২৭০ আসন পাবে। যদি না পান আমি হিজরত করব। আপনি হারবেন না, জীবনেও হারবেন না, বিরোধীদল আছে নাকি?
তিনি সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আল্লাহর পর আমার বাবা এবং এরপর আপনাকে মানতাম, এখন আল্লাহ পর শেখ হাসিনাকে মানি। এগুলো আসে অন্তর থেকে। আপনি নির্বাচনের পর থেকে ১০টাকাও কোম্পানীগঞ্জের নেতাকর্মীদের পিছনে আপনার চালান নাই। মানুষকে সম্মান অন্তর থেকে আসে। আপনাকে সম্মান করার যোগ্যতা আপনার স্ত্রীর কারণে হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার স্পষ্ট বক্তব্য পুরো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শান্তি চাই। অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, হত্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
এর আগে কাদের মির্জা শুক্রবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাস্টসে তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যদি আর একটা মায়ের বুক খালি করা হয় তাহলে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। সে মামলার ১নং আসামী থাকবে ওবায়দুল কাদের, ২নং আসামী মোঃ শাহাব উদ্দিন, ৩নং আসামী একরাম চৌধুরী, ৪নং আসামী নিজাম হাজারী, ৫নং আসামী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের, ৬নং নোয়াখালীর ডিসি, ৭নং নোয়াখালীর এসপি, ৮নং কোম্পানীগঞ্জের ওসি, ৯নং আসামী কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত, ১০নং কোম্পানীগঞ্জে ইউএনও, ১১নং কোম্পানীগঞ্জে এসিল্যান্ড।
You cannot copy content of this page