• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে: প্রধান উপদেষ্টা,,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের,,,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা দেশের সার্বিক কল্যাণে সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি: মির্জা আব্বাস,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা শাশুড়ির ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে জামাই উধাও অতঃপর  থানায় অভিযোগ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সাত দিনের মধ্যে এ মামলা প্রত্যাহার না হলে কলাপাড়াকে অচল করে দেয়া হবে।বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ, অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বিএনপি নেতার বাড়িতে টিসিবির পণ্য, কালো’বাজারে বিক্রির অভিযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। মাঠেই আলু সংরক্ষণ, ন্যায্য দামের অপেক্ষায় কৃষক যেন দুশ্চিন্তায় দিন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাধা দিয়ে ভাঙচুর সহ মারধর করার অভিযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দিতে হবে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।


জেল হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন চাই/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ২৭৮ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১


সম্পাদকীয়ঃনভেম্বর ছিল জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতাকে। রক্তগঙ্গা পাড়ি দেয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিব নগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রীসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানকে ঘাতকরা জেলখানার কুঠুরিতে গুলি করেই ক্ষান্ত হয় নি, তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরদিন ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপ-মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আওয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে। মামলায় বলা হয়, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সেনা সদস্য কারাগারে ঢুকে জাতীয় চার নেতাকে গুলি করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। কিন্তু চরম বাস্তবতা হচ্ছে, এ মামলার তদন্ত থেমে ছিল ক্ষমতাসীনদের কারণে। অবশেষে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয় এবং জেল হত্যার ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিন আসামীর মৃত্যু দ- এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। একজন আসামীর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি হয়েছে। বাকি ১১ জন আসামীর ১০ জনই পলাতক রয়েছেন। দু’তিন জনের অবস্থান সরকার জানলেও অন্যরা কোথায় আছেন তার কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। যাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের সর্বাত্মক চেষ্টা সরকার করছে।

জেল হত্যার বিচার কার্য শেষ হলেও এ নৃশংস হত্যা কা-ের পেছনে কারা ষড়যন্ত্র করেছে, তা এখনো অজ্ঞাত। আগামী প্রজন্ম ও ইতিহাসের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ও নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করা জরুরি। এজন্য একটি পৃথক তদন্ত কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি। অবশ্য ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকা- বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আইন মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, কমিশন গঠনের কাজ চলছে। কাজেই জেল হত্যার পেছনের কুশীলবদেরও খুঁজে বের করা জরুরি। সেজন্য পৃথক একটি কমিশন গঠন করে কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করে ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা ও নতুন প্রজন্মের জানার আগ্রহ মেটাতে হবে। আমরা চাই সরকার যত দ্রুত বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার সাথে জড়িত কুশীলবদের চিহ্নিত করতে পৃথক পৃথক কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page