• বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা,,, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলে সংসদের ক্ষমতা খর্ব হবে কি না—প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির,,,, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এখন সময়ের দাবি: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম,,,,, গণভোটে বিএনপির রাজি হওয়া জনগণের চাপেই: জামায়াত নেতা ডা. তাহের,,,, লৌহজংয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান: ১০ জেলে আটক, ৩৫ কেজি ইলিশ জব্দ,,,, শিক্ষকদের দাবিতে বিএনপির নীতিগত সংহতি: রাজনীতির মানবিক দিক কি জাগছে? জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ রাষ্ট্রদূত,,, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড,,,, কলাপাড়ায় এসডিএফ’র উদ্যোগে স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় যুবদলের সাংগঠনিক সভা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

বন্ধ হোক নারীদের ওপর নির্যাতন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ৩১৩ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের চরম অগ্রগতি হয়েছে। দেশের প্রধান নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রি, স্পীকার সহ সরকারের নীতি নির্ধারনের ক্ষেত্রে নারীদের দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া অফিস আদালত, মাঠে ঘাটে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা কাজ করছেন ,দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে অবদান রাখছেন। এত কিছুর পরও আজ নারী নিরাপদ নয়। পদে পদে তাদের যৌন হয়রানী সহ নানা বিড়ম্বনা সহ্য করতে হচ্ছে। এর সাথে পারিবারিক নির্যাতন তো আছেই। ক্ষেত্র বিশেষে ধর্ষণ ও খুনের শিকার হওয়ার খবরও পাওয়া যায়।
সম্প্রতি এক জরিপে হতাশাজনক এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। সেখানে বলা হয়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ তরুনী এখন যৌন নিগ্রহের শিকার। ৪৪ শতাংশ নারী অনলাইন বিড়ম্বনার সম্মুখীন। একই সাথে প্রায় ৬৪ দশমিক ৯২ শতাংশ তরুনী এখন গনপরিবহনে যৌন হয়রানীর শিকার। দেশের আর্থিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে অংশ নিয়ে নারী যখন আলোর পথে হাটছে তখন কিছু মানুষের হীনমন্যতার কারণে সে আলোকবর্তিকা নিভিয়ে অন্ধকারের পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।  তাদের মাঝ থেকে নীতি- নৈতিকতা আজ নির্বাসিত। সামাজিক স্থিতিশিলতা বজায় রাখার জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ নীতিহীন মানুষগুলোকে আইনের আওতায় আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ক্ষেত্র বিশেষে দেখা গেছে, যৌন হয়রানী বা নারী নির্যতনে তাদের ভুমিকা প্রশ্ন বিদ্ধ। কাজেই নারীর যোগ্য সম্মান ও স্বধীন ভাবে চলাচল আজ কঠিন হয়ে উঠছে।
যৌতুকের কারণে পারিবারিক নির্যাতন বেড়ে গেছে। সে নির্যাতনে হতভাগ্য নারীকে জীবন দিতে হচ্ছে। সন্তান হচ্ছে মা হারা। অন্যদিকে ধর্ষনের ছোবলে আজ নারী নিরাপত্তাহীন। ঘরে বাইরে, চলন্ত বাসে কোথাও সে নিরাপদ নয়। ধর্ষনের শিকার হয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে বাধ্য হচ্ছে। অবশ্য এ জাতীয়  কিছু ঘটনার বিচার হলেও ধর্ষন বন্ধ করা সম্ভব হয় নি। রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষতার দাপটে অনেক ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। যে নারী আপনার আমার জন্মদাত্রী মমতাময়ী মা, তার এ হেন অপমান কোনো সভ্য সমাজ সহ্য করতে পারে না।
দেশে প্রচলিত অনেক আইন রয়েছে। কিন্তু তার যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায়  বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নারী নির্যাতনকারীরা। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নারী স¤্রভ রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হভে। বিচরের কাঠ গড়াায় দাড় করিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে হব্ েআর পারিবারিক ভাবে সন্তানদের নীতি- নৈতিকতা শিক্ষা দিয়ে আগামী প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতে হবে। নির্যাতনের শিকার নারী তো কারো সন্তান বা কারো মা অথবা বোন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ