নিজস্ব প্রতিনিধিঃকরোনা সংকট নিয়ন্ত্রণে আসায় তৃণমূল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তৃণমূল সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলীয় পদ বাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার বিতর্কিতরা। বি এন পি থেকে এসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছেন তারাই এখন পদ বাগাতে চান।
নৌকার বিরোধিতাকারী আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মতি ও তার ভাই মজিবর আছেন পদ বাগানোর দৌড়ে। নৌকার বিরোধিতাকারী এবং বিতর্কিতরা দলীয় পদ পাবেন না, দলের এমন সিদ্ধান্তের পরও অদৃশ্য ইশারায় পদ পাবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ও দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন দলটির বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তুলে আনছেন দলের দুর্দিনের ত্যাগী, পরীক্ষিত, পরিশ্রমী ও মেধাবীদের। মূলত আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করার টার্গেট দলটিতে।
যদিও দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে রুটিন ওয়ার্ক। রুটিন মাফিক যে কার্যক্রম, আওয়ামী লীগ সেই কার্যক্রমে জোর দিয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তৃণমূল আওয়ামী লীগের চলমান সম্মেলনে স্থানীয় সাংসদেরই একচেটিয়া প্রভাব থাকছে। উপজেলার নৌকাবিরোধীরাই পাচ্ছেন শীর্ষ পদ, বরং নৌকা সমর্থকরা ঠাঁই পাচ্ছেন না দলে। মূলত সাংসদ যাকে চাচ্ছেন তিনিই নেতৃত্বে আসছেন। অনেক স্থানে বিতর্কিতর আসছেন মূল দায়িত্বে। যা নিয়ে আমতলীর তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
বরগুনার মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলার সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সব সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদ বাগাতে মরিয়া হয়েছে উঠেছেন নৌকার বিরোধিতাকারীরাসহ বিতর্কিতরা।
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান । যিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধ ছিলেন। আবারও উপজেলায় সাধারণ সম্পাদক হতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন।
You cannot copy content of this page