মো.নাহিদুল হক,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
এদিকে বিধ্বস্ত বাঁধ দিয়ে দুই দফা জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চাম্পাপুর ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম। এর ফলে ওইসব গ্রামে এ বছর আমন আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে ওইসব এলাকার বান ভাসি মানুষের এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আবহাওয়া আফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিন্মচাপে পরিনত হয়েছে। তাই পায়রাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সাথে বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল থাকায় সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
জেলেরা জানান,সাগর উত্তাল থাকায় শতশত মাছ ধরা ট্রলার খাপড়াভাঙ্গা নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। এসব ট্রলার মালিকরা দুই থেকে তিনলাখ টাকা জ্বালানী, বরফ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সাগরে গেলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারনে বেশিরভাগ ট্রলার খালি ফিরে এসেছে। এতে কয়েক কোটি টাকা লোকসানের কবলে পড়েছে।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন,গত তিনদিন ধরে সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা মাছ শিকারে যেতে পারছে না। তাই জেলেরা শতশত ট্রলার নিয়ে আলীপুর মহিপুর আড়ৎ ঘাটসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে নিখোঁজ ট্রলারের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।