• বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে আত্মরক্ষায় মার্শাল আর্ট শিখছে জেলা পুলিশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সবাই মিলে সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ’ এর গেজেট প্রকাশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জ্বালানির দাম এখনই বাড়ছে না : অর্থ উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক, জুলাই মাসে জাতীয় সনদের আশা করছি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফর ‘অত্যন্ত সফল হয়েছে’ : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বরিশালের সাবেক এমপি জেবুন্নেছা ফের গ্রেপ্তার,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা পটুয়াখালীর যুবদল নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্ত ২৪৪ জন, মোট মৃত্যু ৩০ ছাড়াল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


বাজার স্থিতিশীল রাখতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএস: খাদ্যমন্ত্রী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ১৯১ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২


বাজার স্থিতিশীল রাখতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ওএমএসে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচিসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে ৫ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) চলে। যদি বাড়াতে হয় সেটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। ওএমএস কর্মসূচি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখবো। চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) শুরু হয়েছে। ওএমএসের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করবে সরকার। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল ও আটা কিনতে পারেন। এ ছাড়া টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও দেয়া হবে ওএমএসের চাল। একইসঙ্গে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি মানুষ কষ্টে আছে। সরকার কাজ করছে। আমাদের সর্বত্র মনিটরিং আছে। জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও মনিটরিং করছেন।
বোরো সংগ্রহ পরিস্থিতি: বোরোতে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টন সিদ্ধ চাল চাল সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আর আতপ চাল ৫০ হাজারের জায়গায় ৫৫ হাজার ২০৮ টন আমরা সংগ্রহ করেছি। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যতটুকু বেশি পেরেছি আমরা কিনেছি। তিনি বলেন, কিন্তু ৬ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল আমরা ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন কিনতে পেরেছি। ধানটাও আমরা নিরাপত্তা মজুতের জন্য কিনে থাকি। ধানটা রাখা হয় এজন্য যে, বাজারে যদি ধানের দাম কমে যায়, কৃষকরা যেন বিপদে না পড়ে। সরকার যদি ধানের বাজারে থাকে তাহলে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনতে পারবে না। তবে আমাদের রেটের চেয়েও কৃষকরা বাজারে বেশি দাম পেয়েছে। এজন্য ধানটা আমরা শতভাগ কিনতে পারিনি। চলতি আমন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেই চাল আমদানি করা হবে বলেও জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সরকারিভাবে কেনা হচ্ছে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল-গম: সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্যমন্ত্রী জানান, সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টন চাল, মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন চাল ও ভারত থেকে এক লাখ টন চাল কেনা হচ্ছে। এ ছাড়া রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ টন গম কেনা হবে। ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করার কারণে দেশের বাজারে এখন চালের দাম নিম্নমুখী বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকায় ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশাকরি, কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, নন-বাসমতি মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমরা বিশ্বাস। চাল আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা চাল আনতে পারবেন তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ টন সিদ্ধ ও ৩০ হাজার টন আতপ মিলে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। এক লাখ টন ভারত থেকে চাল কেনা হবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আনার জন্য এই মধ্যে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এরপর চুক্তি হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে হয়তো এলসিও হয়ে যাবে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে আরও দুই লাখ টন চাল আনার প্রস্তাব বুধবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টন সিদ্ধ চাল ৫২১ ডলার ও আতপ চাল ৪৯৪ ডলার করে পড়বে। প্রতি টন চাল ভারত থেকে ৪৪৩ দশমিক ৫ ডলার ব্যয়ে আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা সরকারিভাবে চাল আরও কিনবো। কারণ এবার প্রকৃতির অবস্থা খারাপ। আমনের ফলন কম হতে পারে। খরাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হলো এটা। সরকার ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ডের চাল বেশি দামে কিনছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা থাইল্যান্ডের কাছে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। তারা সেভাবে সাড়া দেয়নি। আগে চুক্তিরপরও চাল নেওয়া হয়নি বলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মতবিরোধ আছে। তারপরও তারা এগিয়ে এসেছে। আমরা থাইল্যান্ড থেকে চাল নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানের কারণে ভিয়েতনামের চালের দাম একটু বেশিই থাকে। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে যেখান থেকে পারব চাল আনতে হবে। টাকা দিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই। বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্যের মজুত সর্বোচ্চ জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন,‘আপনারা দেখেছেন বাজার দর নিম্নমুখী, চালের দাম কমেছে। মিলগেট থেকে শুরু করে পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। আমি মনেকরি, আমাদের শক্তিশালী মনিটরিং এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চলবে, আরও কয়েকদিন গেলে দাম আরও কমবে বলে আমার বিশ্বাস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ