এম.জাফরান হারুন, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দরগাবাড়ি সংলগ্ন বাবা মতলেব গাজী ও ছেলে হাচান গাজী তার বাড়িতে সরকারি অর্থায়নে সরকারি টিউবওয়েল বসিয়ে এবং মটার মেশিন লাগিয়ে শুধু নিজস্ব কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৯টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, মাটি দিয়ে চাপা দেয়া রয়েছে ফলকটি। মাটিগুলো সরিয়ে দেখি এলজিএসপি-৩, অর্থবছর ২০১৮-১৯, প্রকল্পের আওতাধীন গভীর নলকূপ স্থাপন করা। বিদ্যুৎ চালিত মটার লাগানো এবং চারিদিকে টিন দিয়ে সাথে সুপারি গাছের খোল দিয়ে বেড়া দেয়া।
এসময় আঃ খালেক, আঃ সালাম, শহিদুল শরিফ, আল-আমিন সহ একাধিক স্থানীয় নারী পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, ৩/৪ বছর হয় টিউবওয়েলটি বাপ-ছেলে মিলে তাদের বাড়িতে বসিয়েছে। ওই সময় আমরা জিঞ্জাসা করেছিলাম তখন তারা বলেছিল ৭০/৮০ টাকা ব্যয় করে নিজস্ব অর্থায়নে নিজস্ব ভাবে ব্যবহার করার জন্য টিউবওয়েলটি এনেছে। আমরা মাঝেমধ্যে খাবার পানির জন্য টিউবওয়েলে পানি নিতে আসলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি সহ গালিগালাজ করতো। পরে দেখি টিউবওয়েলে মটার লাগিয়ে চারিপাশে টিন ও সুপারি গাছের খোল দিয়ে বেড়া দেয়। পরে আর কেউ যেতনা পানি আনতে। দুরে একটি টিউবওয়েল বসানো সেখান থেকে পানি কাজী আনতো সবাই।
স্থানীয়রা আরও বলেন, আপনি সাংবাদিকের কাছ থেকে আমরা এখন জানতে পারলাম যে এটা সরকারি টিউবওয়েল এবং সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আমরা এখন চেয়ারম্যান মেম্বার থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি টিউবওয়েলটি স্থানীয়দের জন্য দ্রুত উন্মুক্ত করে দেয়া হোক এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে এই টিউবওয়েলের জন্য হুমকি ধামকি সহ গালিগালাজ করেছে তার বিচার চাই।
এপ্রসঙ্গে সাবেক মহিলা মেম্বারের স্বামী খোকন বলেন, টিউবওয়েলটি সরকারি। আমাদের সময়ে টিউবওয়েলটি বসানো হয়েছিল। যা সবার জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু পরে শুনেছি যে তারা তাদের নিজস্ব ভাবে মটার মেশিন বসিয়ে বেড়া দিয়ে ব্যবহার করছে। এবং স্থানীয় কাউকে ব্যবহার করতে দিচ্ছে না।
এদিকে নাম না বলা শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, আপনি সাংবাদিক যাওয়ার পর মটর খুলে ফেলেছে।
এব্যাপারে জানতে মতলেব গাজীর ছেলে হাচান গাজীকে ফোন দিলে প্রতিবেদককে বলেন, আমি এখন গাড়িতে আছি।
বতর্মান স্থানীয় মেম্বার ইউনুছ আলী বলেন, এটা সরকারি টিউবওয়েল কিন্তু তারা নিজস্ব ভাবে ব্যবহার করছে। আমি একাধিকবার বলেছি উন্মুক্ত করার জন্য কিন্তু তারা করছেননা। মতলেব গাজীর ছেলে হাচান হাইকোর্টে চাকরি করে দেখে বাবা শুধু শুধু ছেলের কথা বলে। তবে এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করা হবে।
চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ঘটনাটি জেনেছি অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page