এম.জাফরান হারুন, , পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর দশমিনায় নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে ঝলছে যাওয়া সেই সুমি (৩০) নামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর মারা গেছেন ꫰ তিনি দশমিনা থানার সহকারী-উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) সহিদুল আলমের স্ত্রী।
গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় দশমিনা থানা সংলগ্ন পুলিশ কর্মকর্তার ভাড়া বাসায় গায়ে আগুন লাগিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন সুমি। গুরুতর আহত সুমিকে দশমিনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বুধবার রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনিষ্টিটিউট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এএসআই সহিদুলের ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক হারুন ফরেস্টার বলেন, তার তিনতলা ভবনের নিচ তলায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলম। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রায়শই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে থাকতেন সুমি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সহিদুলের স্ত্রী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে তিনিসহ সুমির স্বামী এএসআই সহিদুল আলম ও থানার পুলিশ সদস্যরা সুমিকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যান।
দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেছেন, সুমির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি আগুনে পুড়ে গিয়েছে।
এব্যাপারে জানতে এএসআই সহিদুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
দশমিনা থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, সুমি বেগমের পরিবার জানিয়েছেন তারা কোন মামলা করবেন না।
You cannot copy content of this page