• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মান্দা ফেরিঘাটে ধানের শীষের গণমিছিল–ডা. ইকরামুল বারী টিপুর প্রতি আস্থা জানাল স্থানীয় জনতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ,,, মানবতাবিরোধী অপরাধে রায়: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড,,,, নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে বাহারী ফলের সমাহার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ২৬২ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)মহাসড়কের ধার ঘেঁষে বেশ কয়েকটি বাহারী ফলের দোকান। মাটির উপরে পলিথিন বিছিয়ে সাজিয়ে রাখা আছে রং-বেরং এর সুস্বাদু ফল। এক কথায় ভ্রাম্যমান ফলের দোকান। এসব ফলের দোকান বসে শুধুমাত্র সপ্তাহের হাটবারে। বিভিন্ন জেলায় ফল বেঁচেই সংসার চলে এসব ফল বিক্রেতাদের।

উত্তরা লের বৃহত্তর গরুর হাট বসে রানীগঞ্জ বাজারে। এটি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় অবস্থিত। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে হাট লাগে। এই হাট বারে রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমান ফলের দোকান নিয়ে বসে কয়েকজন ফল বিক্রেতা। তারা সবাই পাশ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা।

ফল বিক্রেতারা জানান প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ফলের দোকান দেয় তারা। হাটবার অনুযায়ী বসে তাদের দোকান। লক্ষ্য হাটে আসা ব্যক্তিদের কাছে ফল বিক্রি করা। এভাবেই ফল বেচে সুখে সংসার চলছে তাদের।

সোমবার হাট বসেছিল ছিল রানীগঞ্জ বাজারে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আ লিক মহাসড়কের ধারঘেঁষে ৭টি ফলের দোকান বসেছে। মাটির উপর পলিথিন বিছিয়ে সাজানো আছে ড্রাগন, মাল্টা, আপেল, কমলা, পেয়ারা ও আনার। হাটে আসা ব্যক্তিরা দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের এসব ফল কিনতে ভীড় জমিয়ে আছেন। সপ্তাহে দু’দিন এই স্থানে তারা দোকান লাগায়।

এসব দোকানে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শ টাকা কেজিতে। মাল্টা ৮০ টাকা, আপেল ১৬০ টাকা, কমলা জাতভেদে ৮০/১৬০/২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পেয়ারা ৫০ টাকা এবং আনার ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

দেশীজাতের এসব কমলা তারা কিনে আনে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন অ ল থেকে। ড্রাগন ফল তারা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। হাটবারে বাজার থেকে শাক-সবজি কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রহিম মোল্লা। তার বয়স ৬৭। ফলের দোকানে ৫০০ গ্রাম ড্রাগন ফল কিনতে দেখা যায় তাকে। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ‘এই ফল আমরা দেখিনি। নতুন নাকি বের হয়েছে। তাই নাতির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি। গত সপ্তাহে এই দোকান থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে গেছি। বেশ সুস্বাদু ছিল।’

পাশের আরেকটি দোকানে আনার ফল কিনছিলেন হাবিবুর রহমান নামের এক যুবক। সে বলেন, ‘আনার ফল শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে। আমার মা অসুস্থ। তাই মায়ের জন্য ২ কেজি আনার নিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় দোকানের চেয়ে এখানে কিছুটা কম দামে ফল কিনতে পাওয়া যায়। মানও বেশ ভালো।’

কথা হয় ফলের দোকানদার ইসাহাক মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ‘এক যুগ থেকে হারা এল্লা ফলের দোকান করে সংসার চালাওছি। একেকদিন একেক জেলাত যাই। হাটের দিন করে হামরা দোকান দেই। ফল বেঁচে হামার প্রতিদিন আয় ১ হাজার থেকে ১৫শ টেকা। হামরা নিজেরাই পাইকারী মাল কিনি। তাই ক্রেতাহেরে কাছে ৫-১০ টাকা কম দামে ফল বেচবার পাই।’

ছবি ক্যাপশন ঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে মহাসড়কের ধারে বাহারী ফলের সমাহার নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ