• বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে — ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু’র বাণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লালমোহনের শহীদ পরিবারের কাছে ঈদ শুভেচ্ছা পৌঁছে দিল যুবদল/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সন্ধ্যায় ঢাকায় আনা হচ্ছে তামিম ইকবালকে,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ১২ পোশাক কারখানা মালিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু বুধবার থেকে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা দেশমাতৃকার সুরক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বদা পাশে থাকবে: সেনাপ্রধান,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালায়, তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য আমরা বুঝি’,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সন্‌জীদা খাতুন আর নেই,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্বাচন এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে: প্রধান উপদেষ্টা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন এর বিদায় মুহূর্তে সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ।

রিপোর্টার: / ৩৭০ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ৬ জুন, ২০২০


মোঃ জুলহাস মিয়া,বরগুনা প্রতিনিধিঃ 
বরগুনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন এর বদলীজনিত বিদয়ী মুহুর্তে তার বাস ভবনে বরগুনার কয়েকজন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাংবাদিকরা তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন। তার এই বিদায় বরগুনা বাসি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। বরগুনার মানুষ একজন অভিভাবককে হারিয়েছেন। উল্লেখ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগ। তার ধারাবাহিকতায় করোনা যুদ্ধে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বরগুনা জেলা পুলিশ। দক্ষ ও মানবিক পুলিশ সুপারের কারনেই এসব সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন জেলাবাসী। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম এর নির্দেশে ও পুলিশ সুপার পদে পদন্নতি মোঃ তোফায়েল আহাম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহজাহান হোসেন এর তত্বাবধানে মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন যোগদান করার পর অত্যন্ত নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার সাথে তিনি কাজ করেছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপশি নতুন করে সকল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে করোনাযুদ্ধে নেমেছেন তিনি। নিজের পরিবার ও পরিজনের কথা না ভেবে বরগুনাবাসীর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিয়জিত রেখেছেন ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন। তার নেতৃত্বে উপজেলার জনসাধারণকে এই মহামারী থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে বিভিন্ন ভাবে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন সদর থানা পুলিশ। নিজেদের লোকজন করোনা পজেটিভ হওয়ার পরেও সরে যায়নি তার দায়িত্ব থেকে। বরং করোনা আক্রান্ত পুলিশ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এসব কিছু সম্ভব হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম এর জন্য। করোনায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার মসজিদ, মন্দির, বাজার মনিটরিংসহ পাড়া-মহল্লা, মোড়ের চায়ের দোকান গুলোতে গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন সচেতনতা মূলক পরামর্শ দিয়েছেন। ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন সদর উপজেলার প্রতিটি বাজারে গিয়ে হ্যান্ড মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বøক রেইডের মাধ্যমে চেকপোস্ট করাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করতে দেখা গেছে থানা পুলিশকে।
এ ছাড়াও এলাকার মানুষকে সর্বসময় পরিস্কার-পরিছিন্নতার মধ্যদিয়ে নিজ-নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান করেছিলেন তিনি। এবং পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে ও তার ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া ঘরবন্দী ও কর্মহীন মানুষদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের মাঝে সাধ্যমতো খাদ্য সামগ্রীও তুলে দিচ্ছে বরগুনা থানা পুলিশ। এতে করে জেলা পুলিশ তথা পুরো পুলিশ বিভাগের উপর মানুষের আস্থা ও ভালবাসা দিন’দিন বেড়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে দেশে শ্রমিক সংকট পড়ায় জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে ও তার দিক নির্দেশনায় নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশ, থানা পুলিশ ও ছাত্রলীগের সহায়তা অসহায় কৃষকদের ধান কেটেছেন এবং ধান কাটতে উৎসাহ প্রদান করছেন ওসি ।
ইতিমধ্যে ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেনের সকল প্রকার কার্যক্রম প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসীর কাছে। সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বিদয়ী বেলা সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বলেন, পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম স্যার আমাদের অভিভাবক। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে স্যারের জন্য ও আপনাদের সার্বিক সহযোগীতায়, সব সময় স্যার আমাকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং স্যারও দিনরাত করোনার বিরোদ্ধে লড়াই করছেন। স্যারই আমাদের উৎসাহ ও প্রেরণা। আমাদের সাহস এসপি স্যার। তাছাড়া আমরা কাজ করি জনগনের জন্য। তাদের ভালমন্দ আমাদেরই দেখতে হবে।
দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে আমরা যদি সরে যেতাম তাহলে মানবিক পুলিশ হতে পারতাম। আমরা আজ গর্বের সাথে বলতে পারি আমরা পুলিশ। আমাদের করোনা যুদ্ধে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বেচ্ছাসেবক, স্টুডেন্ট কমিউিনিটি পুলিশিং ফোরাম, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ স্থানীয়রা সাধারণ লোকজন অনেক সহযোগিতা করেছে। সবার সমন্বয়ে আমরাই পারব করোনাকে জয় করতে। করোনা ভয় বা আতঙ্ক না, এটি একটি সাধারণ রোগের মতই রোগ। সচেতন ও সামাজিক দূরুত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানলেই জয় করা সম্ভব, এই বলে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান, ও সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ