পটুয়াখালীর দুমকিতে কেরোসিন দিয়ে আগুনে ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে যাওয়া গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন।
যাহা ওই মীমের মামা ওমর ফারুক হাওলাদার, খালু শ্বশুর লাল মিয়া হাওলাদার সহ দুমকি থানার ওসি আবুল বশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ই জুন) বিকেলে উপজেলার নতুন বাজার সংলগ্ন শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় মীমের হাত, পা, মুখ বেঁধে ও শিশু সন্তানের ওপর কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। আগুনে ওই গৃহবধূর হাত বুক, পেটসহ শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়। ঝলসে যায় তার শিশু সন্তান ওয়ালিফ হোসেন জিসানের হাত-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান। এসময় স্থানীয়রা তার ডাকচিৎকারে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনিস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তি হতে না পেরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলে শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মীম।
মীম উপজেলার দুমকি সাতানি গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্সের স্ত্রী। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে তারা শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় বসবাস করছিল।
দুমকি থানার ওসি আবুল বশার জানান, মিমের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে শুক্রবার দুপুরের দিকে মিমের শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে সোপার্দ করা হবে।
তিনি আরও জানান, তদন্ত চলমান রয়েছে, ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।