বিএনপির এক দফা ঘোষণার সমাবেশে সরকার মারাত্মক হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশকেও বাধাগ্রস্ত করতে সরকার তার স্বভাবসূলভ চ-নীতির কোনো ব্যতিক্রম করেনি। রাস্তায় রাস্তায় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের বাধা, গ্রেপ্তার, পাড়ায়-মহল্লায় ককটেল বিস্ফোরণসহ সহিংস আক্রমণ কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ। তিনি অভিযোগ করেন, সমাবেশ বানচালে নেতাকর্মীদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করাসহ গাবতলী, আমিনবাজার, গাজীপুর-ধামরাই-টঙ্গী-কালিগঞ্জ সড়ক, ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা, মাওয়া-কেরানীগঞ্জ মহাসড়কে ঢাকার প্রবেশদ্বারে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। এসব এলাকা থেকে অসংখ্য যানবাহন আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীরা ঢাকায় ঢোকার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। এতে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীই নয়, রোগীসহ সাধারণ মানুষও চরম হয়রানির শিকার হয়। রিজভী আহমেদ বলেন, শুধু তাই নয়, সমাবেশকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করেই ক্ষান্ত হয়নি, এটির প্রচারে সরকার মারাত্মক হস্তক্ষেপ করেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা পল্টন এরিয়ায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, মোবাইল নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি ছিল না বললেই চলে। টেলিভিশনে সমাবেশের সংবাদ লাইভ প্রচার করতে নিষেধ করা হয়। এরপরেও উত্তাল জনসমূদ্রের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হলো- দেশের নোটিশবোর্ডে জনগণের পক্ষ থেকে ‘সতর্ক বার্তা’