
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গারাসহ স্থানীয়রা মিলে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন,পাহাড়কাটার ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সেই ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে ওয়াটারকিপারর্স বাংলাদেশ, ব্লু প্লেনেট ইনিশিয়েটিভ ও গ্রীণ কক্সবাজারের উদ্যোগে মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।জেলা ব্যাপী চলে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি। এর অংশ হিসাবে স্থানীয়দের মাঝে চার হাজার বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয় উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। নারী পুরুষের মাঝে বিতরণ করা হয় চার হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা।বিতরণকৃত এসব চারার মধ্যে রয়েছে, তাল, সোনালী, তেতুল,কাজুবাদাম অর্জুন, আমলকী,, নিম, জাম, বহেরা, হরিতকী, আকাশমনি ইত্যাদি।
কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গত ২২ অক্টোবর রবিবার সকালে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান, এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব ও গ্রীণ কক্সবাজারের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী,বিশেষ অতিথি ছিলেন উখিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বদরুল আলম,রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম,জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন কোষ্টট্রাস্টের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ইন্জিনিয়ার হেলাল উদ্দীন ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ বেলাল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাভিশন কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার মোর্শেদুর রহমান খোকন,কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সহ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন, সদস্য শাকের বিন ফয়েজ, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি উখিয়া প্রতিনিধি আনিসুল ইসলাম ও স্থানীয় সাংবাদিক সিএনএন বাংলার উখিয়া প্রতিনিধি আবদুল লতিফ বাচ্ছু।
বক্তারা বলেন, গাছ মানুষের অক্সিজেনের ভাণ্ডার, গাছ নির্মল পরিবেশের সহায়ক,ফলজ,বনজ ও ঔষধী গাছের বহুবিধ গুনাগুন সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়। সর্বপরি গাছের ঔষধী, ফল ও বনজ গাছ মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ করে।তাই প্রতিটি গাছ কে আপন সন্তানের ন্যায় যত্ম নিয়ে লালন পালন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।বিশেষ করে উখিয়া টেকনাফের বাতাস দিন দিন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গারা প্রায় ১২ হাজার একর বন ধংস করেছে,।উখিয়া টেকনাফের আকাশে জমা হয়েছে হাজার হাজার টন কার্বন।যা মানুষের ফুসফুসকে দ্রুত আক্রান্ত করে। ফলে অনাবৃষ্টিসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে প্রাণ প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। এমনকি পাহাড় বৃক্ষ নিধনের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ও নেমে গেছে অনেক নীচে। যার ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানীয় জলের তীব্র সংকট।