• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মান্দা ফেরিঘাটে ধানের শীষের গণমিছিল–ডা. ইকরামুল বারী টিপুর প্রতি আস্থা জানাল স্থানীয় জনতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ,,, মানবতাবিরোধী অপরাধে রায়: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড,,,, নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

অজোপাড়াগাঁয় ড্রাগন চাষে সফলতা পেয়েছেন এক চাষী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ২৭৭ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

মো.নাহিদুল হক,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)ঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অজোপাড়াগাঁয় চাষ হয়েছে ড্রাগনের। আর ফলনও হয়েছে ভাল। কোনটি লাল। আবার কোনটি হলদে রংঙ্গের কিংবা কোনটা সবুজ। প্রতিটি গাছেই ঝুলে রয়েছে অসংখ্য ড্রাগন ফুল আর ফল। উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনীপাড়া গ্রামে মো.মোস্তফা জামান নামের এক চাষী নিজ বাড়িতে প্রথমে এ ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এতে তার ব্যয় হয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। কোনো প্রকার রাসায়নিক ঔষধ ছাড়াই ৮ মাসের মাথায় ফল আসে। এ বাগানে তিনশতাধি ড্রাগন গাছ রয়েছে। আর প্রতি বছরই বাগানটিতে যুক্ত করছেন নতুন নতুন প্রজাতির ড্রাগন চারা। তার বাগানের ড্রাগন ফল এখন স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে তিনি একটি সমন্বিত কৃষি খামার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এই বাগান থেকে বিপুল পরিমানের অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন ড্রাগন চাষি মোস্তফা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নিজরে ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেন। এর পাশাপাশি কলা, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা, পেঁপে, এলাচসহ অন্যান্য ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। এছাড়া রয়েছে মাছের ঘের, গরু ও দেশি মুরগীর খামার। তার সফলতা দেখে ওই ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক খামার গড়ে উঠেছে। অনেক বেকার যুবকদের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ড্রাগন চাষে নুতন উদ্যোক্তাদের সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা করেছেন বলে এই ড্রাগন চাষি মোস্তফা জামান জানিয়েছেন।
কৃষিবিদরা জানান, ড্রাগন ফল হল একটি স্বাস্থ্যকারী ফল। এটি বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে বর্তমানে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। খেতে বেশ সুস্বাদু। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বহুগুনের অধিকারী হওয়ায় এর বেশ চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নে এখন দেয়া হচ্ছে এই ফল।
ড্রাগন চাষী মোস্তফা জামান বলেন, মাত্র চার একর জমিতে তার নিজ বাড়িতে ২০১২ সালে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে সফল হয়। বর্তমানে সে সমন্বিত বাগান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার বাগানে ভিয়েতনামের ড্রাগন (বারি-১) এবং স্থানীয় দেশি প্রজাতির লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি এই চার রংয়ের ড্রাগন উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগনের চাহিদা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে আরো ৯টি নতুন প্রজাতির ড্রাগন চারা সংগ্রহ করেছেন তিনি। এছাড়া কৃষি খামারে সাগর, অগ্নিসাগর, সবরি, মোঁচাবিহীন লাল রংয়ের একাধিক প্রজাতির কলাগাছ রয়েছে। এতে প্রথম দিকে পটুয়াখালী হর্টিকালচার, উপজেলা কৃষি অফিস সহায়তা করেছেন বলে তিনি জানান।
কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, তার ড্রাগন বাগানটি ঘুরে দেখেছি। এই বাগানে সমন্বনিত কৃষি খামার রয়েছে। তবে ড্রাগন চাষে বেশ সফল তিনি। তার এ বাগান ঘুরে দেখলে কৃষিক্ষেত্রে অনেক কিছু শেখা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ড্রাগন একটি জনপ্রিয় ফল। এ উপজেলা এসএসবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মোস্তফা জামানের বাগানটি উল্লেখযোগ্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ