• বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকার প্রতিটি ভবনে সেপটিক ট্যাংক স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জাতিসংঘে সিনিয়র বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নবজাতকের জীবনে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের হুমকি,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলকাতার গণমাধ্যমে ফখরুলের সাক্ষাৎকার বিতর্কিত, বিএনপি বলেছে মিথ্যা ও মনগড়া,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা স্মার্টফোন কেনার সময় ব্যাটারির ‘এমএএইচ’ জানা কেন জরুরি?,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সুপার টাইফুন রাগাসার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত তাইওয়ান ও হংকং, নিহত ১৪, নিখোঁজ ১২৪,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন আপনার বিশ্রাযেম জরুরি,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা শুটিং সেটে আহত হলেন টম হল্যান্ড,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা তাপস-ইনু-কামালের আলাপ প্রকাশ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফোনালাপ বাজিয়ে শোনা হলো,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা তরুণদের রাজপথে নামতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তারেক রহমান : রিজভী,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

অজোপাড়াগাঁয় ড্রাগন চাষে সফলতা পেয়েছেন এক চাষী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ২৬১ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

মো.নাহিদুল হক,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)ঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অজোপাড়াগাঁয় চাষ হয়েছে ড্রাগনের। আর ফলনও হয়েছে ভাল। কোনটি লাল। আবার কোনটি হলদে রংঙ্গের কিংবা কোনটা সবুজ। প্রতিটি গাছেই ঝুলে রয়েছে অসংখ্য ড্রাগন ফুল আর ফল। উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনীপাড়া গ্রামে মো.মোস্তফা জামান নামের এক চাষী নিজ বাড়িতে প্রথমে এ ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এতে তার ব্যয় হয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। কোনো প্রকার রাসায়নিক ঔষধ ছাড়াই ৮ মাসের মাথায় ফল আসে। এ বাগানে তিনশতাধি ড্রাগন গাছ রয়েছে। আর প্রতি বছরই বাগানটিতে যুক্ত করছেন নতুন নতুন প্রজাতির ড্রাগন চারা। তার বাগানের ড্রাগন ফল এখন স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে তিনি একটি সমন্বিত কৃষি খামার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এই বাগান থেকে বিপুল পরিমানের অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন ড্রাগন চাষি মোস্তফা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নিজরে ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেন। এর পাশাপাশি কলা, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা, পেঁপে, এলাচসহ অন্যান্য ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। এছাড়া রয়েছে মাছের ঘের, গরু ও দেশি মুরগীর খামার। তার সফলতা দেখে ওই ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক খামার গড়ে উঠেছে। অনেক বেকার যুবকদের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ড্রাগন চাষে নুতন উদ্যোক্তাদের সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা করেছেন বলে এই ড্রাগন চাষি মোস্তফা জামান জানিয়েছেন।
কৃষিবিদরা জানান, ড্রাগন ফল হল একটি স্বাস্থ্যকারী ফল। এটি বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে বর্তমানে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। খেতে বেশ সুস্বাদু। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বহুগুনের অধিকারী হওয়ায় এর বেশ চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নে এখন দেয়া হচ্ছে এই ফল।
ড্রাগন চাষী মোস্তফা জামান বলেন, মাত্র চার একর জমিতে তার নিজ বাড়িতে ২০১২ সালে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে সফল হয়। বর্তমানে সে সমন্বিত বাগান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার বাগানে ভিয়েতনামের ড্রাগন (বারি-১) এবং স্থানীয় দেশি প্রজাতির লাল, সাদা, হলুদ এবং গোলাপি এই চার রংয়ের ড্রাগন উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগনের চাহিদা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে আরো ৯টি নতুন প্রজাতির ড্রাগন চারা সংগ্রহ করেছেন তিনি। এছাড়া কৃষি খামারে সাগর, অগ্নিসাগর, সবরি, মোঁচাবিহীন লাল রংয়ের একাধিক প্রজাতির কলাগাছ রয়েছে। এতে প্রথম দিকে পটুয়াখালী হর্টিকালচার, উপজেলা কৃষি অফিস সহায়তা করেছেন বলে তিনি জানান।
কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, তার ড্রাগন বাগানটি ঘুরে দেখেছি। এই বাগানে সমন্বনিত কৃষি খামার রয়েছে। তবে ড্রাগন চাষে বেশ সফল তিনি। তার এ বাগান ঘুরে দেখলে কৃষিক্ষেত্রে অনেক কিছু শেখা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ড্রাগন একটি জনপ্রিয় ফল। এ উপজেলা এসএসবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মোস্তফা জামানের বাগানটি উল্লেখযোগ্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ