পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের চন্দ্রপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন কবিরাজ বাড়িতে।
এতে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে মোঃ সোবাহান কবিরাজ গং জানান, চান গাজী, নিজাম ও মোশারেফ গংদের সাথে আমাদের জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যাহার দরুন আমরা পটুয়াখালী আদালতে একটি সিভিল মামলা দায়ের করেছি, তা চলমান রয়েছে। কিন্তু আজ থেকে ১৫/২০ আগে নিজাম গাজীর ৩টি গরু তার গোয়াল ঘর থেকে চুরি হয়ে যায়। সেই গরু চুরি যাওয়ার অপবাদ দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা বানোয়াট সাজানো একটি মামলা দায়ের করেন আদালতে। যাহা আমরা জানিনা এবং এমন কাজ করা তো দুরের কথা। শুধু শুধু আমাদের ফাসানো ও হয়রানি ভোগান্তির জন্য আমাদের ১৩ জনকে আসামি করে নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। কিন্তু চান গাজীর এক আত্মীয়র বাড়ি কেশবপুরের ভরিপাশা গ্রাম থেকে ওই আত্মীয়রা ৩টি চুরি যাওয়া গরুর ১টি গরু আজ মঙ্গলবার (১৩ই জুন) সকালে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে, সে গরুটি এখন তাদের গোয়ালঘরে বাধা আছে। এটা সম্পূর্ণ পূর্ব বিরোধের জের। আমরা এ মামলা অতি দ্রুত প্রত্যাহার সহ তাদের বিচার দাবি করছি।
এদিকে স্থানীয়রা নাম না বলা শর্তে জানান, ওই বিরোধের জের ধরে শুধু শুধু সেবাহান গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আবার শুনেছি ৩টা গরু চুরি যাওয়ার মধ্যে ১টা গরু নাকি তারা তাদের এক আত্মীয়র মাধ্যমে আত্মীয় বাড়ি ভরিপাশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসলে এখানে সোবাহান গংদের ফাসানো প্লাস রহস্য রয়েছে।
এব্যাপারে নিজাম গাজীর স্ত্রীর, মা ও মোশারেফ গাজী বলেন, সোবাহান কবিরাজ গংদের সাথে আমাদের জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যাহার মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু নিজাম গাজীর ৩টি গরু চুরি হয়েছে সত্য যাহার কারনে থানায় একটা অজ্ঞাত নামে জিডিও করা হয়েছে। এবং একটা বলদ গরু আমাদের চান গাজীর ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ভরিপাশা থেকে উদ্ধার করে দিয়েছে। আমরা গরু চুরির ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি। তবে চান গাজী একটা মামলা দায়ের করেছে আদালতে, সেখানে নাকি গরু চুরির বিষয় নিয়ে সোবাহান কবিরাজ গংদের ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাহা আদৌ আমরা জানিনা। এটা সম্পূর্ণ চান গাজী করেছে।
এদিকে এব্যাপারে জানতে মামলার বাদী চান গাজী ও চুরি যাওয়া গরুর মালিক নিজাম গাজীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন প্রতিবেদক যাহার কারণে তাদের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এবিষয়ে বাউফল থানার এসআই ফিরোজ আল মামুন বলেন, চুরি হওয়ার রাতে যাদের গরু চুরি হয়েছে তারা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে জানান যে গরু সহ চোরকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাই আমরা থানা পুলিশ দ্রুত ওইরাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আর কোনও চোর বা গরু পাওয়া যায়নি। তবে এব্যাপারে গরুর মালিক নিজাম গাজী থানায় এসে একটা অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ৩টি চুরি যাওয়া গরুর মধ্যে একটা বলদ গরু তাদের আত্মীয়র মাধ্যমে পেয়েছেন তা আমাদের থানা পুলিশকে জানাননি। শুধু আপনি প্রতিবেদকের মাধ্যমে জানলাম।