দক্ষিণাঞ্চলে পটুয়াখালী টু কুয়াকাটা মহাসড়কে এখন বড় বিপদ ত্রিচক্র যান। দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে গতির পাল্লা দিয়ে চলছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাহনগুলো। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ যানের স্ট্যান্ডও করা হয়েছে মহাসড়কের ওপরই। প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি দেখা যাচ্ছে তিনচাকার যানবাহনের রাজত্ব।
জেলার মহাসড়কে দীর্ঘদিন যাবৎ সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে অনেক মানুষ। ট্রাফিক পুলিশ , যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও বেসরকারি একাধিক এনজিওর তথ্য থেকে মিলেছে এই চিত্র।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইনচার্জ জানান, আমার এরিয়ার ভিতরে কিছু অংশ পড়েছে বরগুনা জেলার অংশ। তাই এই সিএনজি গুলো বেশিরভাগই বরগুনার। আমাদের পটুয়াখালীতে সিএনজি অনেক কম রয়েছে এবং এদের ওভার স্পিড এর উপরে, আমরা আগামীকাল থেকে ব্যবস্থা নিব, কেননা এসব জান বাহনের কোন রেজিস্ট্রেশন দেয়নি পটুয়াখালী বি, আর, টিএ। তারপরও এসব অবৈধ যানবাহন বেপরোয়াভাবে চলছে আমরা এর ব্যবস্থা নিব।
তিনি বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ করতে হলে এখন পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও উদ্যোগ নিতে হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পটুয়াখালী কলাপাড়া মহিপুর অংশে মহাসড়ক দখল করে থাকে নিষিদ্ধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এই সড়কেই রয়েছে সিএনজির একাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড। সেখানে এলোমেলোভাবে পার্কিং করা হচ্ছে শতশত সিএনজি ও অটোরিকশা।
যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কে অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আবার তিনজনের আসনে বসছেন পাঁচজন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সিএনজি চালক কাশেম বলেন, যাত্রীদের অনুরোধ উপক্ষো করে দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নাম না বলার শর্তে অনেক চালকরাই বলছেন, আমরা বিভিন্ন থানা পুলিশকে ম্যানেজ করি ও মাশোয়ারা দিয়ে এসব যানবাহন চালাচ্ছি, না হয় আমাদের ড্রাইভার লাইসেন্স নেই, ও গাড়ির লাইসেন্স না থাকা সত্বেও আমরা কিভাবে মহাসড়কে গাড়ি চালাচ্ছি বল, উক্তি পেশ করেন ।