
মোঃ আল আমিন :আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ উপ নির্বাচনে সবকিছু ঠিক থাকলে, পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় গুয়ারেখা ইউনিয়নে আগামী ১৭ ই জুলাই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
সব কিছু ঠিক ডাক থাকলে, পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় গুয়ারেখা ইউনিয়নে উপ নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার । উক্ত পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় গুয়ারেখা ইউনিয়নে আগামী ইউপি উপ নির্বাচনের পদপ্রার্থী প্রচার-প্রচারণা ও জনসমর্থনে সবার শীর্ষে।এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকাটির বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়, চায়ের দোকানে, হাটে-বাজারে এবং সাধারণ কৃষক ও জেলেদের সাথে, আলাপকালে তারা বলেন।ফারজানা আক্তার দিবা দল-মত নির্বিশেষে সকলের সাথেই হাসিখুশি মিলেমিশে থাকেন।
নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, ফারজানা আক্তার দিবা একজন সৎ,সাহসী,তরুন,মেধাবী ও প্রতিবাদী নারী তার ধারা ৭নং গুয়ারেখা ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব বলে আমরা মনে করি। তার মতো যোগ্য একজন চেয়ারম্যান আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে দরকার বলে আমরা মনে করি।তা ছাড়া তিনি বিগত দিনে একজন জনপ্রতিনিধি না হয়েও আমাদের সার্বিক খোঁজ-খবর ভালো মন্দে সব সময় আমাদের পাশে ছিলেন।এবং অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিজেকে শামিল করেছেন।
ফারজানা আক্তার দিবা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন,আমি এলাকার উন্নয়ন ও জনগনের সেবা করার সুযোগ চাই। শ্বশুরের স্বপ্নের আধুনিক স্মার্ট গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদ গড়তেই আমার এ নির্বাচনে আসা। নির্বাচিত হলে, শ্বশুরের অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করাই হবে, আমার মূল লক্ষ্য।
তাই আমি আশাবাদী শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সমাপ্ত হলে, বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।
নৌকার প্রতীক পেলেন ফারজানা আক্তার দিবা তাহার পরিবারের তথ্য চিত্র তুলে ধরা হল।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী । ৭নং গুয়ারেখা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। একাধারে ছিলেন, জনপ্রতিনিধি গরিব অসহায় দুঃখী ও মেহনতী মানুষের ছিলেন আপনজন । বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুর রব সিকদার। তিনি ছিলেন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে পরিচিত ছিলেণ তিনি। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র দেন চিত্তরঞ্জন, সেখানে উল্লেখ করেন। মোঃ আব্দুর রব সিকদার একজন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী।
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রব শিকদারের সন্তান, বিএনপি চারদলীয় ঐক্যজোটের সময় হামলা মামলাসহ নানা প্রকার হয়রানির শিকার হন। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের তিন মেয়ে দুই ছেলে।
বড় মেয়ের নাম, সেলিনা আক্তার বর্তমানে শিক্ষাগতার পেশায় জড়িত।তিনি পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মেজো মেয়ে রোজিনা আফরোজ (রেবু) তিনিও একজন শিক্ষিকা,রোঙ্গাকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকরি করেন। সেজো মেয়ে শিরিনা আক্তার (সেবু) তিনি একজন শিক্ষিকা। ভগিরাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকরি করেন।বড় ছেলে চাকরি করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর উত্তরা শাখার অথরাইজড অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট ছেলে হাসিবুর রহমান রাসেল, ৬৯ নং পাটিকেল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর একজন শিক্ষক।
পাটিকেলবাড়ি এলাকার রবিউল জানান , মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের যে কেউ প্রার্থী হলে আমরা তার পক্ষে থাকব। কেননা তারা আমাদের মত গরিবের খোঁজ খবর রাখেন ।আজ অনেক প্রার্থী হয়েছে, নির্বাচনের পরে তাদের কে খুজে পাওয়া যাবে না। অত্র এলাকার ভোটার রত্তন কর্মকার বলেন সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ:রব করনা কালিন সময়ে আমাদের যে ভাবে খাদ্য,পোষাক,মাক্স, দিয়ে আমাদের আগলে রেখেছে, তাই তার পরিবারের পক্ষে আমাদের থাকতে হবে। কোন ভয় ভিতি ও গুজব জড়িয়ে তার পক্ষ থেকে মানুষদের দুরে সরানো যাবে না। মানুষ তার পরিবার কে বেচে নিয়েছে বলেই অন্য প্রার্থীদের মনে ভয়। তাই তাদের কিছু সমর্থকরা গুজব ছড়াচ্ছে, আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে বলে আমরা আশা ব্যক্ত করি ।
অত্র এলাকার আরেক ভোটার বেবি আক্তার লাইজু জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদার অত্র অঞ্চলের সকল মানুষের প্রিয় ব্যক্তি হিসাবে ছিলেন। অসহায় গরীব দুখী মানুষদের সহযোগিতা করেন।তার মৃত্যুর পর জনগণ ঐ পরিবারের পক্ষে থাকবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। নির্বাচনের পর দেখতে পারবেন কত ভোটে বিজয়ী হয়েছে এই পরিবার।
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার কারণে উপনির্বাচনে আমার পুত্রবধূ নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায়, বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে, হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেছে, কোন একটি চক্র। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদার শুধু আওয়ামী লীগের প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন না, অত্র অঞ্চলের সকল মানুষের প্রিয় মানুষ ছিলেন। জনগণ বিপুল ভোটে আমার পুত্র বধূ কে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করি।