মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারে বিভিন্ন পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিপূর্নভাবে বসবাসকারীরা প্রতিনিয়তই বাড়িঘর করে আসিতেছে। ঝুঁকিপূ্র্ন বসবাসের কারণে একদিকে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা আর এক দিকে ধংস হচ্ছে পরিবেশ,অন্য দিকে মারা যাচ্ছে মানুষ। গত একযুগে পাহাড় ধসে মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের।তারপরেও বিভিন্ন পাহাড়ের ঢালুতে নতুন করে ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছিল প্রায় ৩ লাখ মানুষ ।
প্রায় ১৮ হেক্টর পাহাড় দখল করে বসবাস করে আসছেন এসব মানুষ। এ বনভূমি কক্সবাজারের এক তৃতীয়াংশ।
এর বাইরে দখল করে রেখেছে রোহিঙ্গারা ৪ হাজার ৮৫৮ হেক্টর পাহাড় ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ । এ বৃষ্টির মৌসুমে ভারী বর্ষনের আগে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে সমতলভূমিতে স্থানান্তর করা না গেলে ব্যাপকভাবে প্রানহানিসহ মারাত্মক বিপর্যয়ের আশংকা করেছেন কক্সবাজার জেলার পরিবেশবাদীরা।
রোহিঙ্গা ছাড়াও স্হানীয় জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতা, চিহ্নিত অপরাধী, এমনকি আরও প্রায় ১ লাখ নতুনও পুরাতন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে বনভূমির পাহাড় দখল করে বসতবাড়ি গড়ে আসছে। শুধু তাই নয়, দখল করে বিক্রি করে আসছিল সরকারি বনভূমির পাহাড়।
অবৈধভাবে বসতি গড়ার জন্য কক্সবাজারে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে বনভুমির পাহাড় ।
বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে শুরু হয় পাহাড় কাটার উৎসব ।
কক্সবাজার জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত একযুগে পাহাড় ধসে মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের।
এর মধ্যে রামু উপজেলার হিমছড়ি এলাকার ১৭ ইসিবি সেনা ক্যাম্পের ৬ সেনা সদস্যসহ জেলার বিভিন্ন স্হানে পাহাড় ধসে প্রায় ৬২ জন প্রান হারান ২০১০ সালের ১৫ জুন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরওয়ার আলম জানান, জেলায় মোট বনভূমির পরিমান ২ লাখ একর। এর মধ্যে অবৈধ দখলে রয়েছে ৯ হাজার ৬৫৭ হেক্টর ।
পাহাড়ি বনভূমিতে বসবাস করিতেছে ১৯ হাজার ৮২৬ পরিবার।
এসব পরিবারে রয়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ, এর মধ্যে রয়েছে আড়াই লাখ মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
( বাপা) কক্সবাজার জেলার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, পাহাড়ি অঞ্চল হিসাবে কক্সবাজার খুবই ঝুঁকিপূর্ন। প্রতিবছর পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে ।
ভারী বৃষ্টি হলেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তৎপর হয় ওঠেন। এছাড়া কোন খবর থাকেনা। এক দিকে পাহাড় ধসে মৃত্যু আর একদিকে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে।