দুই বছর পর তত্ত্বাধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়, তাতে বিপুল বিজয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। পরে ২০১১ সলে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর দাবিতে ফের আন্দোলনে বিএনপি। ২০১৪ সালেও তাদের কর্মসূচিতে সহিংসতার মধ্যে হয়েছিল নির্বাচন, এবারও ভোট বর্জনের ডাক এসেছে। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ যেভাবে দূতিয়ালি ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা বলছিল, এবারও দেখা যাচ্ছে নানামুখী তৎপরতা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফরে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ সফর করে গেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি দল।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে তাগাদা দেননি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এক-এগারোর কুশীলবরাই এই সংলাপ চাচ্ছে।” “বিএনপিও তো সংলাপের কথা বলছে না। তারা তো বলছে না যে আমাদের সঙ্গে সংলাপ করতে চায়। এটা কারা বলছে, সেটা আপনারা কিছুটা জানেন, আমরাও জানি”, বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “গতকাল (শনিবার) ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের (আওয়ামী লীগ) বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা দেশের আইন ও সংবিধানের আলোকে দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে এসেছেন তারা।”
জরুরি আমলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতিতে জড়ায়
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পরের ঘটনাপ্রবাহও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থে এক-এগারো পরিবর্তনের পর যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে ছিল, তারা দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু নিজেরাই দুর্নীতি ও দুঃশাসনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। “ধারণা করা হয়েছিল যাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।” আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই জেল থেকে শেখ হাসিনার পাশাপাশি খালেদা জিয়াও মুক্তি পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “তারা বুঝতে পারেনি, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা কম শক্তিশালী নয়। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পর হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ জনগণ। সে কারণে এগারো মাস পরে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল তারা। “প্রকৃতপক্ষে আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন। আজকে সেই দিন। বাংলাদেশের মানুষ আর কখনও সেই ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না