• শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা : নীতিমালার কাগজে অধিকার, বাস্তবে বন্দী শৈশব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ভোলার নদী গুলোর মৎস্য অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গাজায় আবারও পাঠানো হচ্ছে ত্রাণবাহী নৌযান: ঘোষণা ফ্লোটিলার,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা আ. লীগের শাসনামলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

বিএনপির পদযাত্রা বিজয় নয় পতনযাত্রা: কাদের/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

ক্রাইম বাংলা ডেস্ক / ১৬৫ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩

বিএনপির পদযাত্রাকে তারা ‘বিজয়যাত্রা শুরু’ দাবি করলেও তাকে ‘পতনযাত্রা’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তিনি কী বলেছেন? পদযাত্রা, জনযাত্রা, বিজয়যাত্রা। আসলে পদযাত্রা পরাজয়যাত্রা। পদযাত্রা পতন যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী দিয়েছে? তত্ত্বাবধাক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সরকারের পদত্যাগ দিয়েছে? তাদের কাছে দাবি করে কে, বিএনপি। কী পেয়েছে? একটা হাসের ডিম, ঘোড়ার ডিম। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকানরা আসছে, মনে করছে- তারা তত্ত্বাবধায়ক দেবে, সংগ্রাম করতে হবে। তারা এলো, চলে গেলো। বিএনপিকে দিয়ে গেলো ঘোড়ার ডিম। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক হবে না। পার্লামেন্টের বিলুপ্তি হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার প্রশ্নই ওঠে না। শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কথায় প্রধানমন্ত্রী সরে যাবেন? যতই ষড়ষন্ত্র করেন, বিষোদগার করেন কোনো লাভ হবে না। আমরা প্রতিটা নির্বাচনে শান্তি চাই। তিনি বলেন, বিএনপি মনে করছে ২০০১ সাল আর ২০০৬ সাল- এই দুই সময়ের মতো তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আসবে। ওই সরকার নিয়ে এসে তারা জিতে যাবে। তাদের এই আশায় গুড়ে বালি। তারা যা চেয়েছে কোনো দিনও হবে না। তত্ত্বাবধায়ক আদালত মেরে ফেলেছে। বাতিল করেছে উচ্চ আদালত। ওরা তো আদালত মানে না। আইন মানে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি মানুষের পার্টি। বঙ্গবন্ধুর পার্টি, শেখ হাসিনার পার্টি। এই পার্টি কারও কাছে মাথা নত করে না। বাংলাদেশে যত শয়তানের দল আছে, বাংলাদেশের সব শয়তাতের জায়গা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, কী মেরামত করেছেন, খাম্বা? দ্রব্যমূল্য আস্তে আস্তে কমার আশ্বাস দিয়ে এবং সরকারের গত তিন মেয়াদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি বলেন, বিএনপি ঘোড়ার ডিম ছাড়া কিছুই দিতে পারবে না। ফখরুল, পাবলিকরে কী দিয়েছেন? আগামী মাসে আরও কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল বুঝে গেছে, গতবারের মতো এবারও হারবে। এই দল ভুয়া। এদের সব কথা ভুয়া। ওদের আন্দোলন ভুয়া। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিএনপি নাকি ডিজিটাল করবে। তাদের সে স্বপ্ন ডিপ ফ্রিজে। এখন আর বলে না। তাদের ৩০ সালের স্বপ্ন ভুয়া। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি সবাইকে বলছি, আমাদের ধৈর্য ধরার সময়। আমরা বিজয়ী হবো। পরিবেশ যেন অশান্ত না হয়। কারও উসকানিতে কান না দিয়ে নিজেদের কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় বিএনপিকে ‘খালি কলসি’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ভরা কসলি নড়ে না। বিএনপি খালি কলসি। হারা পার্টি বিশৃঙ্খলা করতে চায়। আমরা জেতা পার্টি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অন্যদিকে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই ধরনের তথাকথিত রূপরেখা ও আন্দোলনের হুমকি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্থাপিত রূপরেখাকে ‘অন্তঃসারশূন্য ও অকার্যকর’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি বিভ্রান্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। কখনও ১০ দফা, কখনও ২৭ দফা কখনও এক দফা, আবার কখনও ৩১ দফা। বিএনপি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত এসব দফা জনগণ কর্তৃক ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাই তারা কিছু দিন পর পর নতুন নতুন দফা নিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপির এই দফা জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে নয় বরং ঐতিহ্যগতভাবে তাদের দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের স্বৈরতান্ত্রিক অপরাজনীতি ফিরিয়ে আনার কূটকৌশল। তাদের এসব দফা ও রূপরেখায় জনকল্যাণের সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপন্থা নেই। জনগণ তাদের আস্থায় না নিলেও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা মরিয়া হয়ে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আজ যেসব রূপরেখা ও দফা তুলে ধরছে, প্রকৃতপক্ষে তারা তা বিশ্বাস ও ধারণ করে না। কারণ, তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এসব নীতির বিরুদ্ধে সব ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে ছিল-গণতন্ত্রকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে। তিনি বলেন, তারা দুর্নীতির বরপুত্র, একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএনপি জনগণকে সেই ‘হাওয়া ভবন’-এর দুঃশাসনের যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। আজ তারা দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা বলছে। অথচ বিএনপির শাসনামলে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের কলঙ্কের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। তিনি বলেন, বিএনপি তাদের তথাকথিত রূপরেখায় ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলেছে। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির কথা বলেছে। কৃষকের অধিকারের কথা বলেছে। এ যেন ভূতের মুখে রামনাম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানই এদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর প্রথম আঘাত হেনেছিল এবং বিএনপির এমপি, মন্ত্রী ও ক্যাডার বাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর পাশবিক ও বর্বর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল। তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর বারবার আঘাত হেনেছে বিএনপি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং তাদের হাত শ্রমিকের রক্তে রঞ্জিত। এমনকি পবিত্র রমজান মাসে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করায় ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল। কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষকে গুলি করে হত্যা এবং সার ও তেলের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষকের বুকে বুলেট বিদ্ধ করেছিল বিএনপি। তাদের অতীত অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে, জাতির সামনে ক্ষমা প্রার্থনা না করে, আজ তারা বিভ্রান্তির রূপরেখা উপস্থাপন করছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে। আসলে গণতন্ত্রের মোড়কে তারা তাদের সেই হিংস্র রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। গণতান্ত্রিক পন্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম অন্তরায় বিএনপি এবং তার দোসররা। বিবৃতিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী সবার অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। আজকের বাংলাদেশে কৃষক, শ্রমিক, জনতার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যে কয়বার শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে। কৃষি খাতে ব্যাপক প্রণোদনা ও কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ক্ষুধা ও চরম দারিদ্র্যের অভিঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে জাতি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই এবং অর্থনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে জনকল্যাণের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ