
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি দলের প্রধান নবী হোসেনসহ উভয় দলের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক দল সশস্ত্র দল পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত খামার থেকে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকার শহর মল্লুকের ছেলে নবী হোসেন প্রকাশ লাদেনের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র দল তাদের ওপর হামলা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নবী হোসেন একজন বৃহৎ মাদক কারবারি।তার সেন্ডিকেটে রয়েছে নুরুল আলম পিতা মৃত ছৈয়দ হোসেন, কামাল হোসেন পিতা মোহাম্মদ হোসেন, জয়নাল পিতা পিতা মৃত বেচা আলী, বেলাল উদ্দিন পিতা বেচা আলী শমসু মিয়া পিতা মৃত ছৈয়দ হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম পিতা বাচা মিয়া, মোহাম্মদ কায়ছার পিতা আব্দুল করিম, জিয়াবুল হক পিতা মৃত ছৈয়দ হোসেন, তারা সেন্ডিকেটের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী হওয়াতে অপহরন থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসিতেছে বলে জানিয়েছেন এলাবাসী।নবী হোসেন একটি ডাকাত দলের প্রধান বলেও পরিচিত তার এলাকায়। ডাকাত দলের প্রধান হিসেবে পাহাড়ে অবস্থান করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার লোকজন প্রতিনিয়ত এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকে। এদের কাজ হলো ইয়াবা ছিনিয়ে নেওয়া এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক সরবরাহ করাও অপহরন করা। গত তিনদিন আগে উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তিন জনকে অপহরন করে তারা। পরে একজনকে মুক্তিপন দিয়ে ছেড়ে দেয়, পরের দিন আরেকজনকে মুক্তিপন দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার কথা পাকা হলে মুক্তিপনের টাকার জন্য জিয়াউল হক নামে একজন টাকার জন্য আসিলে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশ তাকে হাতেনাতে আটক করে। এর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ডাকাত,ইয়াবা ছিনতাইকারী ও অপহরনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।