• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মান্দা ফেরিঘাটে ধানের শীষের গণমিছিল–ডা. ইকরামুল বারী টিপুর প্রতি আস্থা জানাল স্থানীয় জনতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ,,, মানবতাবিরোধী অপরাধে রায়: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড,,,, নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

কুয়াকাটায় পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

মনির হাওলাদার / ২৪০ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪

মনির হাওলাদারঃকুয়াকাটায় কর্মরত মানবজমিন ও বিজয় টিভির প্রতিনিধি এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক হোসাইন আমিরকে মহিপুর থানা পুলিশ কর্তৃক মারধরের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পাঠাবেন। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে এমনটি আশ্বস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে এতদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে।

পুলিশ সুপারের সাথে কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছবি এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় মহিপুর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রব, কনস্টেবল আজিজ ও আল আমিন কর্তব্যরত সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে মারধর ও টানাহেঁচড়া করে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়। এ সময় সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক এ ঘটনা জানাজানি হলে কুয়াকাটা মহিপুর এলাকায় কর্মরত সংবাদ কর্মীরা থানায় ছুটে যায়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলোচনায় হোসাইন আমিরকে অহেতুক মারধর ও হেনস্তার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে উঠে আসে। মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার নানা কৌশলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মহিপুর থানার ওসির অপসারণ এবং দোষীদের বিচার দাবী করে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়, পটুয়াখালী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাজল বরণ দাস ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফসহ নেতৃবৃন্দ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলামসহ কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বার, সাংবাদিকদের অভিযোগ শুনেন এবং গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপক গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ