
মোঃ জুলহাস মিয়া বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনা জেলার পাকুরগাছিয়া এলাকায় “নাপিতের খাল” দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুই গ্রামের মানুষ খালের পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে কৃষকদের উপর চড়াও হয় ইউপি সদস্য। দেশীয় চাপাতি হাতে নিয়ে কৃষকদের ভয় দেখান তিনি।
অভিযোগের সত্যতা মেলে সরেজমিনে গেলে। দেখা যায় রামদা হাতে ইউপি সদস্য কথা বলছেন। নাপিতের খালের এক কিলোমিটার দখল করে মাছ চাষ করছেন তিনি। দক্ষিণ মা তার সঙ্গে আড়ি করে চালু করে তার উপর জাল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এরপর সেখানে নানা জাতের মাছের চাষ করছেন তিনি। তবে তিনি দাবি করছেন, এক কিলোমিটার খালটি নিজের পৈতৃক সম্পত্তি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালে খালটি দখল করে মাছ চাষ শুরু করছেন ইউপি সদস্য সনু। খালের দুই পাশে দুটি গ্রাম অন্তত এক হাজার একর কৃষি জমিতে আউশ আমন ধানের আবাদ হয় তাছাড়া শীতকালীন সবজির ব্যাপক চাষ হয়।ল
স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মসূচির মাধ্যমে খালটি পূর্ণ খনন করে। এখন সেই খাল দখল করায় কৃষিকাজে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, এই খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন আমাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় ইউপি সদস্য কোন।
অভিযোগ স্বীকার করে ইউপি সদস্য পনু বলেন,
এই খাল আমার পৈতৃক সম্পত্তি। আমি এখানে যা মনে চায় তাই করবো
এ বিষয়ে ৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশফাকুর রহমান ফিরোজ জানান, বিষয়টি সত্যি দুঃখজনক। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। আমি ইউপি সদস্য পনুকে দেখে বলছি। কিন্তু আমার কথা না শুনে শুনছি আবার মাছ চাষ শুরু করছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া তাসনিম বলেন, এখনো কোনো বিষয়ে অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
২ বছর ধরে এক কিলোমিটার খালটি এভাবে দখল করে মাছ চাষ করছে ইউপি সদস্য পনু। কৃষি কাজে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে খাল দখল করে। মারধোর থেকে শুরু করে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে কৃষকদের।