পুলিশ ও র্যাবের ১৬ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী আতিকুর রহমান কে হত্যার হুমকি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে স্বৈরাচারের সহযোগী প্রতারক লিটল গাজী, আকরাম হোসেন বাদল, বাইট্যা নজরুল ও শেখ তিতুমীর আকাশ চক্র। জীবনের নিরাপত্তার কথা ও অপপ্রচার বন্ধ ও বিচার চেয়ে গতকাল বংশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আতিকুর রহমান। প্রতারক লিটল গাজী চক্রের বিরুদ্ধে আতিকুর রহমান এর একাধিক মামলা চলমান আছে।
চলতি মাসের ১২ তারিখ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী মোঃ আতিকুর রহমান এর দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে পিবি আই কে তদন্তের আদেশ দেন। মামলা নং ১০/২০২৪, তারিখ ১২/৮/২০২৪ ইংরেজি। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে দায়ের করা এ মামলায় আরজিতে উল্লেখ করেন, র্যাব ৪ এর সাবেক অধিনায়ক মোজাম্মেল হক সহ পুলিশ ও র্যাবের ১৬ জন কর্মকর্তা একাধিক মিথ্যা মামলায় ৪ বার গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করেন, বাসার মালামাল ভাংচুর করেন, কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করেন এবং প্রায় এক বছর জেলে রাখেন। গত ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটেছে। বিগত স্বৈরাচার সরকার, প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডার বাহিনীর বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে একাধিক নিউজ, ভিডিও ও ফেইসবুকে লাইভ করার কারণে বার বার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আতিকুর রহমান। নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে একাধিকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। এমনকি আতিকুর রহমান ও তার ব্যক্তিগত সহকারী খোকন এর দাড়ি কেটে দিয়েছিলেন । আসামীরা স্বৈরাচার সরকারের একাধিক বিশেষ মহল থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে এগুলো করেছেন। আতিকুর রহমান আরো অভিযোগ করেন, স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান ও র্যাবের মহাপরিচালক বরাবর ৬ বার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ধরনের প্রতিকার পাওয়া যায় নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাদী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সে যথেষ্ট সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করে আসছে। এছাড়াও গত কয়েক বছর যাবৎ ১০০% সততার সাথে জাতীয় ও অনলাইন মিডিয়াতে সাংবাদিকতা করে আসছে। গত ২০১৭ সালে সাংবাদিকতার উপর বিশেষ কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি সনদ অর্জন করছেন ।
সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লিখতে গিয়ে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিগত স্বৈরাচার সরকার, স্বৈরাচার সরকারের প্রশাসন , স্বৈরাচার সরকারের দলীয় ক্যাডার বাহিনী ও সারাদেশে একাধিক অপরাধ চক্রের টার্গেটে পরিনতি হয়েছে আতিকুর রহমান, তার পরিবার ও তার হাতে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন। আতিকুর রহমানকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোন অপকর্ম নেই যা আসামীরা করেনি। আল্লাহর বিশেষ রহমতে সে এখনও বেঁচে আছে এবং মানব সেবা করছেন। মানব সেবাই সর্বোত্তম ইবাদত তাই মানব সেবা করা যে কোন নাগরিকের সাংবিধানিক ও ধর্মীয় অধিকার। এক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করতে বাধ্য। কিন্তু সহযোগিতা না করে বরং প্রতিটি পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে আসছে আসামীরা।
সমগ্র বিশ্বে মানব সেবা ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা, মাদকমুক্ত ও অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে গত ২০১৭ সালের ১ লা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম শুরু করেন । ইতোমধ্যে জয়েন্ট স্টোক থেকে নামের ছাড়পত্র নিয়েছেন, যাহার নম্বর – ২০১৮২২৫৮২০ এবং আবেদন করেছেন, যাহার স্মারক নম্বর – ২০১৮৮৩০৩৯ । তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে সারা দেশে অসংখ্য সেবামুলক কাজের মাধ্যমে দেশ বিদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ ও উদ্দেশ্যকে দ্রুত সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংস্থার নাম রেখেছে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন। অতি শীঘ্রই সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান ও তার পরিবার।