আব্দুর রহমান সম্প্রতি লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জাকিয়া নামের তালাক প্রাপ্ত এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে এবং সেই বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে। এলাকার লোকজনে জিজ্ঞেস করলে বলে আমি জাকিয়ার স্বামী। আমাদের বিয়ে হয়েছে। এক পর্যায়ে এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ওই এলাকার লোকজন তাদের বিয়ের কাবিননাম চাইলে দেখাতে পারেনি। পরে কাবিন দেখাবে বলে সময় নেয়।
এদিকে তার স্ত্রী সাহিদা এ ঘটনা জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেদম মারপিট করে এবং সে বিয়ে করেনি বলে জানায়। পরে সাহিদা বাদী হয়ে লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
জাকিয়ার এলাকার লোকজন প্রশ্ন তোলে বিয়ে না করলে সে এখানে যাতায়াত কীভাবে করলো। সে জাকিয়ার সাথে বিয়ের কাবিন এখনো দেখায়নি বলে জানান স্থানীয় লোকজন। দীর্ঘদিন ধরে জাকিয়ার ঘরে যাতায়াত ও বসবাস করার এক পর্যায়ে গত ৯ আগস্ট দিনগত রাতে আব্দুর রহমানকে লোকজন আটক করে এবং বিয়ের প্রমাণ দেখতে চায়।
সাহিদা জানান, আব্দুর রহমান আমার জমানো টাকা আত্মসাৎ করেছেন। স্বামী হিসেবে যখন যা চেয়েছেন, না বলিনি। তিনি আমার নামে জমি কেনার কথা বলে টাকা নিয়ে সেই জমির দলিল ওনার মায়ের নামে করেছেন। আমি আমার বাপের বাড়ির জমি বিক্রি করে ওনাকে পাঁচ লাখ টাকা এনে দিয়েছি। আমি ওনার এমন প্রতারণার বিচার দাবী করি।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রহমান এমন আরো ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো জানান, সে বিধবা ও তালাক প্রাপ্ত মহিলা দেখে দেখে সম্পর্কের জাল পেতে বিয়ে করে এবং টাকা হাতিয়ে নিয়ে কেটে পড়ে বলে জানা যায়।