আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে ভোমরা বন্দর। রাজস্ব প্রবৃদ্ধি আর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সক্ষমতায় রয়েছে এই বন্দরটি। দেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের বাজারে রপ্তানি করছে বিভিন্ন দেশীয় পণ্য। রপ্তানিকৃত দেশীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রাণ কোম্পানির শিশুপ্রিয় খাদ্য জুস, চকলেট, চাটনি ও ঝালমুড়ি। এছাড়া গার্মেন্টস সামগ্রী পাটের সুতা, ফার্নিচার সামগ্রী, আরএফএলের প্লাস্টিকের চেয়ার, টি-টেবিলসহ অন্যান্য পণ্য। এসব দেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি করে সরকার অক্টোবর মাসে ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫ হাজার বৈদেশিক মুদ্রা (মার্কিন ডলার) অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমদানি বাণিজ্যের পাশাপাশি অধিক হারে বেড়েছে রপ্তানি বাণিজ্য।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান, বাণিজ্য বান্ধব অনুকূল পরিবেশ থাকায় দেশের শীর্ষ রপ্তানি কারক ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দর দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনা করছে। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে রপ্তানি, অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। বন্দরে চলমান অবকাঠামো উন্নয়নে অবশিষ্ট কাজ শেষ হলে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাড়বে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
ভোমরা কাস্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি আবু হাসান জানান, একদিকে ভোমরাকে উন্নয়নশীল বন্দরে পদার্পণ করানো অন্যদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা। সব মিলিয়ে ভোমরা বন্দরকে আধুনিকায়ন করা এবং পরবর্তীশীল বাণিজ্য সম্প্রসারণে দীর্ঘস্থায়ী সুখপরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি আরো জানান, ভোমরা বন্দরকে বৈষম্যহীন বাণিজ্য ব্যবস্থায় রূপান্তর করা আমাদের মূল লক্ষ্য।
সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, ভোমরা বন্দরের অগ্রগতিরক ত্বরান্বিত করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা আমাদের উদ্দেশ্য। এ বন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষসহ শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়ন ঘটবে এবং তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।