নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠি গ্রামে সেনা সদস্যের পরিবারকে দীর্ঘ দিন যাবত জমিজমা নিয়ে হয়রানী করছে আ’লীগ নেতা আঃ সালাম হাওলাদার। সুত্রে জানা যায়, বাকপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাদারকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শফিকুল ইসলাম (সেনা সদস্য) পিতা মোঃ সামসুল হক হাওলাদার ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জমি অন্যায় ভাবে গ্রাস করছে মৃত আজিম উদ্দীন হাওলাদারের পুত্র আঃ সালাম, আঃ হালিম, মোঃ কালাম সহ তাদের বাহিনী। আঃ সালাম বাকপুর ইউনিয়ন আ,লীগ সভাপতি এবং তার পুত্র ফিরোজ যুবলীগ নেতা হওয়ায় তারা জমিদখল, খুন, চুরি, মাদকসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালাত বীরদর্পে। তাদের এহেন অপকর্মে কেহ বাঁধা সৃষ্টি করলে তাকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে পুলিশি হয়রানি করা হতো। সেনা সদস্য’র পিতা মোঃ সামসুল হক হাওলাদার বলেন “আমি পেশায় একজন ইমাম, আঃ সালাম, হালিম, কালাম গংরা ক্ষমতার জোড়ে বিভিন্ন সময়ে আমাদের বসত বাড়ীর প্রায় তিন শতক জমির মাটি কেটে নিয়ে যায়, জমিতে লাঙ্গল চালিয়ে চাষ করে, বাঁধা দিলেই মাড়তে আাসে।সম্প্রতি আমার জমিতে ওরা পিলার বসাতে আসলে আমি বানারীপাড়া থানায় হালিম ও কালাম হাওলাদারকে বিবাদী করে অভিযোগ দেই।পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষের আলোচনায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি মোঃ মহসীন আলম সরদার ফরিদ (মহুরি), সার্ভেয়ার বাবুল হাওলাদার, এবং সেলিম বালীকে সালিশ নিযুক্ত করা হয়।এই তিন জনের উপস্থিতিতে ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ বিরোধীয় জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।জমি পরিমাপের পরে মৃত আজিম উদ্দীনের পুত্র আঃ হাকিক হাওলাদার বাদী হয়ে বরিশালে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাছেন উদ্দিন মুন্সির পুত্র শামছুল হক সহ ৪ জনকে বিবাদী করে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন যাহার নং ২৩০/২০২৫। এব্যাপারে শামছুল হক মুন্সি বলেন “আমাদেরকে অন্যায় ভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে এমামলা দায়ের করেছে।স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, এক সময়ের টেম্পু ড্রাইভার সালাম হাওলাদার আ’লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার সাথে সাথে গাছের ব্যবসা করে। পরবর্তীতে চাখার এবং বাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সাথে সখ্যতা গড়ে বাকপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির দায়িত্বে আসে সালাম। ক্ষমতা পেয়ে সালাম খুন, জমিদখল, শালিস বানিজ্যে মেতে উঠেন।
দ্বিতীয় পর্ব দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক ক্রাইম বাংলা পত্রিকায়।