নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শাশুড়ির জমি কেনার টাকা নিয়ে জামাই নিরুদ্দেশ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রুমা বেগম তার বর্তমান ঠিকানা
কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন নতুন বারালিয়া, (ফিরোজ মোল্লার বাড়ির ২য়তলার ভাড়াটিয়া), থানা- কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা- ঢাকা,
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় রুমা বেগম (৪২), স্বামী- মনির বেপারী, পিতা- মোস্তফা আকন্দ, তার একমাত্র মেয়ের জামাই আরিফ হোসেন (৩১), (মোবাইল নাম্বার- ০১৭০৭১৭৪২০২), পিতা- মৃত আলী হাওলাদার, সাং- কায়েতমারা, জালালাবাদ লক্ষ্মীপুর, মুলাদী, বরিশাল। বর্তমান সাং- আটি বাজার, থানা- কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা- ঢাকা বিবাদী আমার মেয়ের জামাই হিসেবে আমার ভালো মন্দ দেখা শুনা করিয়া আসিতেছে। আমি আমার গ্রামের বাড়ির জমি বিক্রির টাকা প্রায় ৫,৫০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বিবাদীর কাছে সাউথ ব্যাংক লিমিটেড, আটি বাজার শাখায় আমার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারে জমা রাখিতে দেই। গত ইং ১১/০৩/২০২৫ তারিখ অনুমান বেলা ১১:০০ ঘটিকার সময় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন নতুন বারাশিয়া (ফিরোজ মোল্লার) ভাড়াকৃত বাসা হতে আমি বিবাদীকে আমার ও আমার মেঝো মেয়ের প্রায় ০৬ ভরি স্বর্ণ অলংকার বন্দক রাখিয়া বন্দকের অনুমান ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা এবং নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা সাউথ ব্যাংক লিমিটেড, আটি বাজার শাখায় জমা রাখিবার জন্য পাঠাই। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের পর অনুমান দুপুর ০২:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার মেয়ের জামাইকে মোবাইল নাম্বারে ফোন করিলে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় কোন প্রকার যোগাযোগ করিতে পারি নাই। পরবর্তীতে আমি সম্ভাব সব জায়গায় তাকে খোঁজ করিলে তাহার কোন খোঁজ জানতে পারি নাই। পরবর্তীতে অদ্য ইং ১২/০৩/২০২৫ তারিখ বেলা ১১:০০ ঘটিকার সময় উক্ত স্বর্ণ অলংকার দোকানে গিয়ে আমার বন্দককৃত স্বর্ণ ও বন্দকের টাকা কথা জিজ্ঞাসা করিলে উক্ত দোকান মালিকের নিকট হতে স্বর্ণ বন্দক রাখে নাই বলে জানায়। পরবর্তীতে সাউথ ব্যাক লিমিটেড, আটি বাজার শাখায় আমার একাউন্টের জমাকৃত টাকা খোঁজ নিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমার একাউন্টে কোন টাকা নাই বলিয়া জানায়। এমতাবস্থায় আরিফ হোসেন আমার সরলতারর সুযোগ নিয়ে আমার সাথে প্রতারনা করিয়া আমার ব্যাংকে ৫,৫০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং প্রায় ০৬ ভরি স্বর্ণ অলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে খোঁজ নিলে তারা কোন তার খোঁজ দিতে পারেনি।
তার শাশুড়ি আরো জানান আমার মেয়ের জামাইয়ের দুটি সন্তান রয়েছে তাদেরকে রেখে সে আমার সবকিছু শেষ করে চলে গিয়েছে তাই তার দৃষ্টান্তমূল শাস্তি চাই তাকে যদি কেহ ধরিয়ে দিতে পারে তাকে আমি এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দিব বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।
এ বিষয়ে আরিফের স্ত্রী জানান সে এরকমটা করবে আমাদের জানা ছিল না আমার দুটি সন্তান রেখে সেই রকম পালিয়ে যাবে আমার মায়ের টাকা নিয়ে তা আমরা কখনো ভাবি নি আমি তার বিচার চাই।
এ বিষয় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অফিস ইনচার্জ কে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।