মোঃ মিজানুর রহমান মৃধা ।।
বরিশালের বানারীপাড়ার আব্দুল কাদের মিয়ার সন্তান ভুয়া মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মিয়া কল্পনার জগতে আলাদিনের চেরাগের কথা থাকলেও বাস্তবে তার রূপ দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন। ইউসুফ আলী মিয়া বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলাধীন সোলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত নরোত্তমপুর গ্রামের একজন ভোটার। ভোটার তালিকায় তার ক্রমিক নং ৬৬ তালিকা অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ২৮ /০১/ ১৯৬৫ লিপিবদ্ধ আছে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার গঠনের সময় তার জন্ম তারিখ অনুযায়ী তার বয়স ছিল ৬ বছর ৪ মাস ১১ দিন। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ১৯৭১ সনে ১৩ বছরের নিচের কোন ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না বা মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে সনদ দেওয়া হয় না। ইউসুফ আলী মিয়া ৬ বছর ৪ মাস ১১ দিন বয়সে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হওয়ার বিষয়টি একদমই অসম্ভব। এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার ভোটার তালিকার সাথে হুবহু মিল পাওয়া যায়। ইউসুফ আলী মিয়া তার প্রকৃত জন্ম তারিখ গোপন করে ভুয়া জন্মতারিখ ব্যবহার করে নিজেকে ভুয়া মুজিবনগর কর্মচারী দেখাইয়া সাব রেজিস্টার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ফরিদপুর সদর বরিশাল সদর,বাগেরহাট সদর,কচুয়া, বগুড়া, নাটোর, নীলফামারী,লালমনিরহাট, সদর সহ বিভিন্ন জায়গায় চাকুরী করেছেন। এদিকে অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায় সাবরেজিস্টার হওয়ার পূর্বে ইউসুফ আলী মিয়া ঢাকাস্থ ভূমি সংস্কার বোর্ডে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে গার্ড পদে এবং বরিশাল জেলার বানারী পাড়া উপজেলা ভূমি অফিসে সহকারী তহশিলদার এবং তহশিলদার পদে কর্মরত ছিলেন। তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ২৮/১/১৯৬৫ এর সত্যতা ঢাকস্থ ভূমি সংস্কার বোর্ড ও বানারীপাড়া উপজেলা ভূমি অফিসে রক্ষিত সার্ভিস বহি পর্যালোচনা করলেই জানা যাবে। ইউসুফ আলি মিয়া বে-আইনিভাবে ভাবে সাব রেজিস্টার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বানরী পাড়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ২ নং ওয়ার্ডে কোটি কোটি টাকা মূল্যের চারতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। নরোত্তমপুর গ্রামে কোটি টাকা মূল্যের একাধিক ভবন নির্মাণ করেছেন এছাড়াও রয়েছে একাধিক দোকান। বরিশাল শহরে কালিবাড়ি রোড ঢাকায় ঠাটারী বাজার উত্তরায় একাধিক বাড়ি, ফ্লাট ও প্লট ক্রয় করেছেন। বানারী পাড়া ডক ইয়াডে কোটি কোটি টাকা বিশাল জাহাজ নির্মাণ করিয়েছেন। এছাড়াও তিনি নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ এই অবৈধ চাকরি সুবাদে করিয়েছেন যা দুর্নীতির প্রমাণ বহন করে। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় তিনি তার ভাই বোন এবং আত্মীয়-স্বজনের নামেও করেছেন বহু সম্পদ এবং বানারীপাড়া বাজারে তার ভাইদের যে ব্যবসা তা তার অবৈধ ভাবে করা সম্পদের ধারায় পরিচালিত হয়। তার এত সম্পদের বিবরণ সম্বন্ধে সাংবাদিকরা জানতে চেয়ে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭২৪০৫ ৫৩৫৬ / ০১৭৯১১৭৮৭০৫ যোগাযোগ করতে চাইলে তোর নাম্বার দুটি বন্ধ পাওয়া যায় একটি সূত্র থেকে জানা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের হানা দেওয়ার চিত্র প্রকাশ্যে আসার পরে ইউসুফ আলী মিয়া কিছুটা আত্মগোপনে রয়েছেন। সংবাদকর্মীরা তার বানারী পাড়ার বাড়িতে তথ্য জানতে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার বাড়ির কেয়ার টেকার বলেন এরকম বহু সাংবাদিক এবং একাধিক সংস্থা তার দুর্নীতি সম্বন্ধে বহুবার তদন্ত করেও তাকে কিছুই করতে পারেনি তার একটি লোম এর ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা কেউ রাখে না। এদিকে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে সাব রেজিস্টারদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ পাওয়ার পরে বানারী পাড়ার সচেতন মহলের মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছে এই দুর্নীতিবাজ অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাব রেজিস্টার ইউসুফ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না দুদক। সচেতন মহলের দাবি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউসুফ আলী মিয়ার অবৈধ সম্পদের হিসাব এবং অবৈধভাবে তার নিয়োগের সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হোক। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে অবৈধ মুজিবনগর কর্মচারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সাব রেজিস্টার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে তার অবৈধ সম্পদ এবং বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।