কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলাপাড়ায় সুমাইয়া নামে এক নারীকে মারধর করে তার পরিধেয় জামা ছিড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার স্বামী মো.মাসুম শেখকেও মেরে আহত করেন হানিফ শেখ, খাদিজা বেগম, ইসা ও লাইলি বেগম। পরবর্তীতে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছেন বলে এমনই অভিযোগ করেন সুমাইয়া বেগম ও তার শশুর মজিদ শেখ। এ ঘটনাটি উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুডাবাছা গ্রামে ঘটেছে।
মো.মজিদ শেখ বলেন, গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে বাড়িতে গাছের ঠাল কাটতে গেলে একটি ঠাল তারের উপর পরে তার আপন ভাই বারেক শেখের বিদ্যুতের মিটার ভেঙ্গে যায়। এতে দুই ভাইয়ের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি নতুন মিটার এনে দেয়ার কথা বলেন। তবুও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার পুত্র বধু ও ছেলের উপর তার ভাইয়ের ছেলে, মেয়েরা হামলা চালিয়ে আহত করে। অথচ উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া বেগম জানান, তার চাচাতো ভাসুর হানিফ শেখ বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে তিনি রাজি না হয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বর্তমানে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে সেই সুযোগে তাকে ও তার স্বামীকে মারধর করে তার জামা ছিড়ে ফেলে। তিনি এ ঘটনার বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয় অবদুল বারেক শেখ বলেন, তার মিটার ভাঙ্গার কারনে নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার হয়। স্থানীয়রা মিমাংসার কথা বললে আমরা মেনে যাই। পরে তার মেয়ে খাদিজাকে মারধর করার কারনে, তার ছেলে হানিফ শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী হানিফ শেখ জানান, তারা কোন মারপিট করেনি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। তবে, তার বোনকে মারার কারনে তিনি মামলা দায়ের করেছেন।