পৃথক হলো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত, বাড়বে মামলার গতি
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার এনেছে সরকার। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। বিচারকদের ওপর দ্বৈত দায়িত্ব কমিয়ে বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতদিন পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজরা একইসঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করে আসছিলেন। একই বিচারকের ওপর দুই ধরনের দায়িত্ব থাকায় মামলাজট ক্রমশ বাড়ছিল এবং দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছিল। বর্তমানে অধস্তন আদালতগুলোতে প্রায় ১৬ লাখ দেওয়ানি মামলা এবং ২৩ লাখ ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সংখ্যায় ফৌজদারি মামলা বেশি হলেও উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হওয়ায় নিষ্পত্তির গতি উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হচ্ছিল।
এই প্রেক্ষাপটে আইন মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব আদালতে বিচারকরা শুধু ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। অপরদিকে দেওয়ানি আদালতগুলো কেবল দেওয়ানি মামলার কার্যক্রমে মনোনিবেশ করবে। এর ফলে দ্বৈত দায়িত্বের চাপ কমে গিয়ে মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালত পৃথককরণের এ উদ্যোগ বিচার ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। এতে করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আদালতেই মামলার নিষ্পত্তির গতি বাড়বে এবং বহু প্রতীক্ষিত মামলাজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।