
গণভোট নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত জানতে চায় সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণভোটের সময় ও বিষয়বস্তু নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের আলোকে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ‘করবী হলে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, “ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ আলোচনার পরও কমিশনের কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন মত রয়ে গেছে। বিশেষ করে গণভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং এর বিষয়বস্তু কী হবে—এই দুই প্রশ্নে মতভেদ স্পষ্ট।”
ড. আসিফ নজরুল জানান, বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, “এখন আর সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সরকারকে একটি ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দিতে হবে। এমন নির্দেশনা পাওয়া গেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সভায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে দ্রুত আলোচনায় বসে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।”
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংশোধন) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে বর্ণিত গণভোট আয়োজনের প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়।
আইন উপদেষ্টা জানান, “গণভোটের সময়, বিষয়বস্তু এবং জুলাই সনদের ভিন্নমতগুলো নিরসনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”