সুন্দর ঝলমলে একরাশ ঘনকালো চুল কে না চয়! রুক্ষ, নিষ্প্রাণ চুল সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। তার উপর খুশকি হলে তো আরো ভয়াবহ অবস্থা। খুব সুন্দর করে সেজেছেন, দারুণ পোশাক, পারফেক্ট মেকআপ। কিন্তু কাছে গেলেই যদি সাজানো গুছানো সেট করা চুলের ফাঁকে ফাঁকে ছোট্ট ছোট্ট সাদা খুশকি ভেসে উঠতে দেখা যায়, তা হলে মনটা খারাপ হতে আর কী লাগে বলুন?
প্রতিদিনের জীবনযাপনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুল।স্ক্যাল্পের শুষ্কতা, ঠিকঠাক চুল পরিষ্কার না করা, ভুল ডায়েট- এসব কারণে খুশকির মতো উপসর্গ জাঁকিয়ে বসতে পারে মাথায়। তাই সুন্দর চুলের পাশাপাশি মাথায় খুশকির সমস্যা এড়াতে সপ্তাহে শুধু একদিন নয় পারলে প্রতিদিনই চুলের যতœ নিন। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুশকি সেরেও যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১.দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করে তার সাথে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে দিন। পরবর্তীতে শ্যাম্পু করে নিন।
২.শ্যাম্পুর পরিবর্তে বেকিং সোডা ব্যবহার করেও চুল ধুয়ে নিতে পারেন। বেকিং সোডা চুলকে ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যার প্রভাবে খুশকির আশঙ্কা কমে যায়। প্রথম-প্রথম চুল অতিরিক্ত শুকনো লাগতে পারে। তবে পরে স্ক্যাল্পের স্বাভাবিক তেলেই চুল নরম হয়ে উঠবে।৩.মেথি স্বাস্থ্যের পক্ষে যতটা ভালো, চুলের পক্ষেও ততটাই। আধ কাপ পানিতে দুই টেবিল চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরের দিন ব্লে-ারে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। আধঘণ্টা এই পেস্টটা মাথায় লাগিয়ে রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে খুশকির সমস্যা কমবে।
৪.মুলতানি মাটির প্যাক লাগালে খুশকি শুধু দূরই হবে না, চুলও ঝলমলে হবে। এই প্যাক বানিয়ে নিন মুলতানি মাটির সঙ্গে সামান্য লেবুর রস আর পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে। ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রেখে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫.খুশকির প্রকোপ কমাতে দারুণ কাজ করে নিমপাতা। একমুঠো নিমপাতার পেস্ট তৈরি করে গোছলের এক ঘণ্টা আগে মাথায় লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে থাকুন। তারপর ভেষজ কোনো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। আগের দিন রাতে এই পেস্টটা লাগিয়ে পরদিন শ্যাম্পু করতে পারলেও খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, নিমের নিয়মিত ব্যবহার আপনার মাথার তালুর চুলকানি কমাবে, যে ফাঙ্গাসের কারণে খুশকি হয় সেগুলোকে ক্রমশ অকেজো করে দেয় নিমের নির্যাস।
You cannot copy content of this page