• বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় এসডিএফ’র উদ্যোগে স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় যুবদলের সাংগঠনিক সভা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। রোববার থেকে মেট্রোরেলের চলাচল সময় বাড়ছে, নভেম্বরেই বাড়বে ট্রিপ সংখ্যা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করতে হাঁস বিতরণ — মানবিক রফিকের অনন্য উদ্যোগ,, কলাপাড়ার মহিপুরে সুশীলনের উদ্যোগে নারীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় শিক্ষকরা সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গজারিয়ায় ট্রলার থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র ও ফার্নিচার,,, মাউশির ডিজি অধ্যাপক আজাদ খানকে দায়িত্ব থেকে সরাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়,, মাজারগেটেই রাতে অবস্থান করবেন এমপিও শিক্ষকরা

ফেসবুক-গুগলের ‘ক্যাশ সার্ভার’ বন্ধে ব্রডব্যান্ডে গতি কমবে, বাড়বে খরচ’।দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৩১৬ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

ফেসবুক-গুগলের ‘ক্যাশ সার্ভার’ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার আইএসপি নেটওয়ার্কে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের এমন নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। কিন্তু এতে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ডের গতি কমবে; খরচ বাড়বে। ধরে রাখা যাবে না বিটিআরসি ঘোষিত ‘এক দেশ- এক রেট’ ইন্টারনেট প্যাকেজের ট্যারিফ। এমন আশঙ্কা ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন- আইএসপিএবি’র।
এক দশক আগেও এমন সার্ভার থেকেই ফেসবুক, গুগলের তথ্য আসা-যাওয়া করতো বাংলাদেশে। ডেটা ট্রাফিকের দূরত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ফেসবুক-গুগলের পারফর্মেন্স মিলতো না বাংলাদেশে।

গতি বাড়াতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাশ সার্ভার বসায় গুগল ও ফেসুবক। পরে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ পায় স্থানীয় আইএসপিগুলো। এতে খরচ কমে ব্যান্ডউইডথের।

আইএসপিএবি এর সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘গুগল গ্লোবাল ক্যাশের প্রায় ৩০০ এর মত নোট ডেপ্লয় আছে। ফেসবুকের ১০০’র মত ডেপ্লয় আছে।’

কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা ও নেটওয়ার্কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ের সব ক্যাশ সার্ভার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

কিন্তু আইএসপিরা বলছে, এসব ক্যাশ সার্ভার বন্ধ হলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় গতি কমবে, খরচ বাড়বে ব্রডব্যান্ডের।

আইএসপিএবি এর সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের কাছাকাছি যে সার্ভারগুলো আছে, সেই ক্যাশ সার্ভারগুলো তুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া আছে। আমাদের তখন যে খরচ বাড়বে তা আমরা কাস্টমারদের থেকেই নিবো। যত দূরে যাবে আমাদের ক্যাশ সার্ভার কাস্টমারদের এক্সপেরিয়েন্স ততই খারাপ হবে।’

আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক এমন আশঙ্কা করলেও স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার উঠিয়ে দেয়ার পক্ষে একই সংগঠনের সভাপতি।

আমিনুল হাকিম আরো জানান, ‘লোকালি যদি ক্যাশ সার্ভারগুলো শাটডাউন হয়ে যায় ইন্টারনেটের মূল্য আমার ব্যক্তিগত মতামত, খুব একটা বাড়বে না। ছোট ছোট নেটওয়ার্কে যে ক্যাশ সার্ভারগুলো ডেপ্লয় করা আছে তার পরিবর্তে এটা আইআইজি বা আইএসপি লেভেলে ডেপ্লয় করা ভালো।’

তা করা হলে বিটিআরসি ঘোষিত ‘এক দেশ- এক রেট’ ট্যারিফ ধরে রাখা যাবে না। এমন শঙ্কাও রয়েছে।

ইমদাদুল হক আরো বলেন, এক দেশ-এক রেট রাখাটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সরকারের লক্ষ্য অর্জন তখনই হবে, যখন সুযোগ-সুবিধাগুলো বহাল থাকবে। সুযোগ-সুবিধা কমে গেলে আইএসপিএবি থেকে কাঙ্খিত সেবাটা দেয়াটা কষ্ট হয়ে যাবে।’

স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার বন্ধ হলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ বাড়বে- একে বিটিআরসি স্রেফ অজুহাত মনে করে।

বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘ক্যাশ সার্ভার তো অনেক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার আছে। সবাইকে যদি ক্যাশ সার্ভারের অনুমোদন দেয়া হয় তাহলে তো মনিটর করতে পারবো না। আইএসপিএবি এর সঙ্গে যখন কথা বললাম তখন তারা একম কোন কথা বলেনি। ক্যাশ সার্ভার বন্ধ হলে সমস্যা হবে তা বলেন কেউই। কোন কাজ না করতে চাইলে অজুহাত সৃষ্টি করাই যায়।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ