মোঃ মনিরুল ইসলাম মহিপুর প্রতিনিধি ঃ
কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানাধীন ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের ৬৪ নং আজীমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। পার্শ্ববর্তী গ্রামে ডংকুপাড়া’র মৃতুঃ মোঃ জব্বার আলী প্যাদা’র পুত্র প্রধান শিক্ষক এইচ এম ইউনুচ আলী সোহেল(৪৮)। ২০১৮-১৯,২০,২১ইং অর্থ বছরের বরাদ্ধকৃত ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার অধিকাংশ আত্মসাত করেছে। চুরির ধান্দা মিলাতে গিয়ে কোভিট-১৯ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের কাছে ১৬ সপ্তাহের ওয়ার্কসীট পৌছানোর কথা থাকলেও মাত্র ৪-৫ সপ্তাহের ওয়ার্কসীট দিয়েই ক্ষ্যান্ত করেছিলো। বিগত দিনের মতো বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত টাকা চুরির মাধ্যমে ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার মানষেই তফসিল অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি গঠনে বিভিন্ন ভাবে অনিয়মের গুটি চালছে। ফলে বিদ্যালয়ের জমি দাতাদেরকেও পাত্তা দিচ্ছেনা।
অভিযোগকারী মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর ২১ইং বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির তফসিল ঘোষনা হয়। তার পিতা মোঃ আবুল হোসেন হাওলাদার ওই স্কুলের একজন জমিদাতা। স্কুলের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড শতভাগ অব্যহত রাখতে সদস্য হিসাবে কমিটিতে অর্ন্তভুক্তির ইচ্ছা পোষন করেন তারা। কমিটি গঠনে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক গোপনে ম্যানেজিং কমিটি করার পায়তারা চালাচ্ছে। বিদ্যালয়ের অপূরনীয় ক্ষতি ঠেকাতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এইচ এম ইউনুচ আলী সোহেলকে অপসারণ খুবই জরুরী। প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী সোহেলের ষড়যন্ত্র মুলক গোপন কমিটি বাতিল করে, নতুন প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত ও স্বচ্ছ ম্যানেজিং কমিটি উপহাড় দেয়ার জোর অনুরোধ জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর, ০২ ডিসেম্বর ২১ইং একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ ছাড়াও তিনি আরো বলেন, দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক এইচ এম ইউনুচ সোহেলের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মোকাম কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪২০/৪০৬/৫০৬ দন্ড বিধি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ।
এদিকে বিগত দিনে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রিসহ বরাদ্ধের টাকা চুরির মাধ্যমে ভাগবাটোয়ারায় যুক্তথাকা স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার রয়েছে শক্তাবস্থানে। মস্কে যাবেতো ভেঙ্গে যাবেনা। বর্তমানে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় বি এন পি’র কোন লোক কমিটিতে নেয়া হবেনা বলে সাব জানিয়ে দেয়।
এব্যাপারে ক্ষমতাপ্রয়োগকারী ইউপি সদস্য পদাধীকার বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার মতো করে স্কুল কমিটি হবে। অন্যকারো কথায় নয়। প্রয়োজনে এম পি মহোদ্বয়ের হস্তক্ষেপ নেবেন তিনি।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী সোহেল জনিয়েছেন, তিনি যদি দূর্নীতি করে থাকে তদন্তে আসলেইতো পাওয়া যাবে। কমিটির ব্যাপারে কোন গোপন কমিটি করা হয়নি প্রকাশ্যে ফরম বিক্রি হয়েছে। নির্বাচন হয়নি কেন ? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page