স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাহাবুদ্দিন ঃকলাপাড়া উপজেলায় সরকারি খাস জমি জবর দখল করে নির্বিচারে বন নিধন করে যাচ্ছে।উপজেলার ৫ংনীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজীপুর মৌজার লস্করপুর গ্রামের স্থানীয় কতিপয় ভূমি দস্যু ও প্রভাবশালী জনৈক আঃমন্নান খান, আঃমন্নান জমাদ্দার মোঃরবিউল হুসাইন ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ্য সরকারি খাস জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি জবর দখল করে অবৈধ ভাবে গোল গাছের বাগান সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার বরাবরে মৌখিক অভিযোগ
করলে ও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সরজমিন গিয়ে দেখা য যায় যে, রাতের অন্ধকারে বেকু মেশিন দিয়ে খাস জমির মধ্যে ভেরী বাঁধের পাশে মাটি কাটিয়া গোল বাগান সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পালা উপড়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলেছে এবং গাছ কাটিয়া নেয়। কাজ চলাকালীন সময়ে উপজেলা বন বিভাগের প্রতিনিধি গন সরেজমিনে আসলেও অদ্য পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী গণ মুঠোফোনে এই নাম্বারে 01710845725 কলাপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে পেচিয়ে কালক্ষেপণ করে, ব্যক্তিদের বিভিন্ন বয়সের অজুহাত দেয়ার চেষ্টা চালায়। তিনি পরবর্তীতে বলেন মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে সংবাদকর্মী গন জেলা বন কর্মকর্তা কে মুঠোফোনে এই নাম্বারে, 01999001541 অবহিত করলে। তিনি প্রথম পর্যায়ে বলেন আমার টেবিলে এখনো মামলার কোন কাগজ আসেনি, কিছুক্ষণ পরেই তিনি ফোন ব্যাক করে বলেন বিষয়টি আমরা নজর এনেছি চারজনকে আসামি করা হয়েছে যে চারজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তার ভিতরে একজন উপস্থিত ছিল। আর যারা তারা এলাকায় নাই বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিদের নাম এড়িয়ে যাচ্ছে বলে সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গালী দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে এলাকার সাধারণ জনোগন মুখ খুলতে পাড়ছে না। বিশ্ব পরিবেশ যখন হুমকির মূখে তখন এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী সরকারি জমির বন জঙ্গল নির্বিচারে ধ্বংস করে জমি দখল করে যাচ্ছে। এবিষয় স্থানীয় মোঃ ইদ্রিস আকন বলেন গোল বাগান থেকে স্থানীয় জনসাধারন উপকার ভুগী হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে পরিবেশ কে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও প্রতি বছর গোল গাছের পাতা বিট দিয়ে বন বিভাগ সরকারের ফান্ডে অর্থ আদায় করে থাকে। লস্কর পুর গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর ফরাজি বলেন গোল বাগান থেকে স্থানীয় জনসাধর উপকৃত হয়। আমরা প্রতি বছর বন বিভাগ কে বিট দিয়ে থাকি।
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় আমার বাড়ির সামনের ভেরীবাধ টি ঘূর্ণিঝড় জলচ্ছাসে প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় থেকে ভেঙ্গে গিয়ে চার জন লোক মৃত্যু হয়েছিল। এখন ভেরীবাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটলে ভেরীবাধটি হুমকির সম্মুখিন হবে।স্থানীয় আঃ হামিদ ফরাজি বলেন এলাকার কয়েক জন প্রভাবশালী খাস জমি ওয়াবদার পাশে থাকা গোল গাছের বাগান বেকু মেশিন দিয়ে উপড়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখে এবং গাছ পালা কাটিয়া নিয়েছে। প্রতি বছর আমরা সরকারকে বিট দিয়ে থাকি। এ বাগান থেকে আমরা উপকৃত হই।
স্থানীয় মোঃ ইব্রাহীম বলেন আমাদের চার পাশে কয়েক টি ইটের ভাটা রয়েছে এর ফলে এলাকার পরিবেশ দূষন হচ্ছে এরই মধ্যে সরকারি বন জঙ্গল ধবংস করলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।আমরা উপজেলা প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। এবিষয় উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মোঃ তরিকুল ইসলাম মুঠোফোনে সংবাদ কর্মীগনকে জানান সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page