মোঃ হাবিব রনি ঃসংবাদ ও তথ্য সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যাওয়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) এর নওগাঁ জেলার সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মানিকের ওপর আতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নওগাঁর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।
গত সোমবার (৪এপ্রিল) বিকেলে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কলেজপাড়া পুরাতন হাসপাতাল এলাকায় সংবাদ ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে পার্শবর্তী একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য লোহার রড ও লাঠি দিয়ে উপুর্যুপরি মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রসীরা।
পরর্বতীতে স্থানীয়রা গুরুতর ও অসচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গুরুতর আহত সাংবাদিকের ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লতা জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন সন্ত্রাসীরা তার ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত ও অসচেতন অবস্থায় পুকুরপাড়ে ফেলে রেখে গেছে এবং আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ কথা শোনার পর সে বৃদ্ধ মাকে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যান এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন। তিনি এবং তার মা সন্ত্রসীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ ও সঠিক বিচারের দাবী করেন।
মিজানুর রহমান মানিক দৈনিক আজকের তাজা খবর পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি মহাদেবপুর উপজেলার কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ার আলহাজ্ব লতিফর রহমানের ছেলে।
সাংবাদিকের ওপর আতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখা, আরজেএফ ও সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন সাংবাদিক নেতারা। এ বিষয়টি নিয়ে মানব বন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নওগাঁর সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
আহত সাংবাদিক ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাবেন তারা।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, একজন সাংবাদিকের ওপর আতর্কিত হামলার ঘটনা কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তারা এখনো জানেন না? হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচিরও আহবান করা হবে বলে তারা জানান।