এম.জাফরান হারুন, , পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১০নং বালিয়াতলী ইউনিয়নের করমজাপাড়া (টিয়াখালী খাল নামে পরিচিত) তুলাতলা হইতে সোমবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত ম্যানগ্রোভ (গোলপাতা ও ক্যাওড়া বাগান) বন কেটে অবাদে উজার করা হচ্ছে। করা হচ্ছে একের পর এক বেড়িবাধ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন খালটিতে প্রায় ৩০/৪০ টি অবৈধভাবে বাধ দিয়ে বসতবাড়ি ঘর তৈরি করা হচ্ছে। চোখের সামনে এমন দুঃসাহসিক কাজ একদল অসাধু লোকেরা করলেও দেখেও না দেখার ভান করে নিরব ভূমিকা পালন করছেন বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। যেন এতে তাদের নেই কোনও মাথা ব্যথা। তাই অবাদে গোলপাতা বন কেটে উজার সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ম্যানগ্রোভ (গোলপাতা ও ক্যাওড়া বাগান) বন রক্ষণাবেক্ষণ সহ সংরক্ষণের কথা থাকলেও নেই যেন বন বিভাগের দেখভাল তদারকি। এদিকে খাস জমি বেদখল হতে যাচ্ছে। তাতে সরকার হারাচ্ছেন রাজস্ব। এতেও যেন নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাথা ব্যথা।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে এমনি চিত্র দেখা গেছে।
এসময় স্থানীয়রা জানান, সরকারের খাস জমিগুলো গোলপাতা ও ক্যাওড়া বাগান কেটে কেটে দখলপূর্বক বেড়িবাধ দিয়ে বসতবাড়ি ঘর তৈরি করা হচ্ছে। অফিসের লোকজন আসলেও দেখলেও তারা এব্যাপারে কিছু বলেননা। আবার ফরেস্ট অফিসের লোকজন এসে গোলপাতা বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যান।
কলাপাড়া রেঞ্জ বন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম এর কাছে এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, উক্ত এলাকা তার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। ওটা মহিপুর রেঞ্জের আওতাধীন।
এব্যাপারে জানতে মহিপুর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা আবুল কালাম এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করে প্রশ্নের সদোত্তার না দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরকে ধরিয়ে দেন।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা ইন্জিনিয়ার আরিফ হোসেন বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। তবে পাউবোর খাল দখল করে কেউ পার পাবেনা! এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রতিবেদককে বলেন, এব্যাপারে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এখনি তদন্তে লোক পাঠানো হবে।