এম.জাফরান হারুন, পটুয়াখালী:: প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দুস্থ, ভূমি ও গৃহহীনদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের একাধিক দুস্থ, ভূমি ও গৃহহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। প্রতিটি ঘরের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে চুক্তি করেন তিনি এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অগ্রিম ১০ হাজার টাকা করে নেন। এভাবে ২০-২৫টি পরিবারের কাছ থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন।
উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মো. মজিবর হাওলাদার বলেন, ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন তহশিলদার নজরুল। এখন ঘরও দিচ্ছেন না, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
আমড়াগাছিয়া গ্রামের জতীন গোলদার বলেন, আমার মাধ্যমে আমার ছেলে সুদেব গোলদার ও একই গ্রামের মোতালেব, জলিল, গোপাল চন্দ্র, রাসেল, হালিমা ও আলমসহ সাতজনকে ঘর দেওয়ার কথা বলে মোট ৭০ হাজার টাকা নেন ভূমি অফিসের তহশিলদার নজরুল। দীর্ঘ দিন হলেও ঘর না পাওয়ায় আমরা টাকা ফেরত চাওয়ায় তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করেন, ঘর পাবেন। আমি মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠিয়েছি।’
আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের দুই রিকশাচালক শাহ আলম ও আবু সিদ্দিককে ঘর দেবে বলে আমার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন তহশিলদার। ঘরের তো কোনো খবর নাই, টাকা চাইলেই নানান টালবাহানা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।