মো.নাহিদুল হক,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: সাগর পাড়ে যাতায়াতের খেয়ায় পর্যটকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসারের গঙ্গামতির এই খেয়ায় নির্দিষ্ট ভাড়ার চার্ট না থাকায় পর্যটকসহ যাত্রীদের কাজ থেকে ইচ্ছেমত ভাড়া তোলা হচ্ছে। মোটরসাইকেল প্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাশীল দলের এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় এ নৈরাজ্য চলছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৮ কিলোমিটার বিচ নিয়ে কুয়াকাটার পর্যটন এলাকা। সাগরপাড় হয়ে পুরো বিচ ঘুরতে পর্যটকদের পার হতে হয় গঙ্গামতি খেয়া। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে স্থানীয়রা এ পথ হয়ে কুয়াকাটার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। কিন্তু গঙ্গামতি খেয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারনে জিম্মি হয়ে পরছে পর্যটকসহ যাত্রীরা। এ পথে অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা নিজস্ব মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়ত করে থাকেন। ইচ্ছেমত ভাড়া হাকিয়ে প্রতিটি গাড়ি হতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। ভাড়া আদায়ে পর্যটকদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে।
পর্যটক ইমন আল আহসান বলেন, আমরা চার বন্ধু নিজস্ব দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে গঙ্গামতি ঘুরে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য এ পথ বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে মোটরসাইকেলের ভাড়া শুনে আমি হতভাগ হয়ে গেছি। আমার পালসার গাড়ি ১০০ টাকা আর আমার বন্ধুর গাড়ি হোন্ডা কোম্পানির রেফসল হওয়ায় ১৫০ টাকা ভাড়া দাবী করেন তারা। একই খেয়ায় দুইধরনের ভাড়া নেয়ার বিষয়টির কিছুই বুঝতে পারলাম না।
অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়ে খেয়ার মাঝি’র নিকট জানতে চাইলে তারা স্থানীয় সাংসদ’র ব্যক্তিগত সহকারী মো. তরিকুল মৃধার সাথে কথা বলতে বলেন।
স্থানীয় সাংসদ’র ব্যক্তিগত সহকারী মো. তরিকুল মৃধা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এটা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের আন্ডারের খেয়া। তারা আমার নাম ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের লোকদের সাথে কথা বলে দেখছি।
ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান ক্বারি মো. হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, এটা আমার ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রনে না। স্থানীয এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেখভাল করে। শুধু খেয়াই না তারা সমুদ্রের পানিও বিক্রি করে থাকে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, এ বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। খুব শিঘ্রই একটি মোবাইল টিম সেখানে যাবে।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি।