এম.জাফরান হারুন, , পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর দশমিনায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন সুমি (৩০) নামে এক গৃহবধূ। তিনি দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলমের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা না হওয়ায় মানসিক সমস্যা থেকে এমন কান্ড করেছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে থানা সংলগ্ন ওই পুলিশকর্তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সুমির শরীরের ৪৫ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দশমিনা থানা সংলগ্ন বাড়ির মালিক হারুন ফরেস্টার জানান, তার তৃতীয়তলা ভবনের নিচতলায় স্ত্রী নিয়ে থাকতেন দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলম। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রায়ই দুশ্চিন্তা ও পাগলামি করতেন সুমি। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তবে সহিদুল তার স্ত্রীর প্রতি সব সময় সন্তুষ্ট ছিলেন ও পারিবারিক কোনো কলহ ছিলনা বলে বাড়ির মালিকের দাবি।
ঘটনার দিন সহিদুলের স্ত্রী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তিনিসহ সুমির স্বামী ও থানার পুলিশরা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যান।
দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার জানিয়েছেন, ওই পুলিশ কর্তার স্ত্রী সুমির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৪৫ শতাংশের বেশি আগুনে পুড়ে গেছে। তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দশমিনা থানা সুত্রে জানা যায়, এএসআই সহিদুলের স্ত্রী ঢাকায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের পারিবারিক কোনো কলহ ছিল না।