মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট ( দিনাজপুর)মৃত্যুর আগে ইসরাত জাহান লিমা তার বড় বোন মোছাঃ ইয়াসমিন আরা লিজা কে মুঠোফোনে ম্যাসেজ করে জানায়, আব্বা মাকে দেখাশুনা করিস,আমার সাথে আর তোর দেখা নাও হতে পারে,আমাকে ক্ষমা করে দিস! এ রকম বড় বোনকে মুঠোফোনে আবেগ ঘন ম্যাসেজ দিয়ে
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সেলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে ইসরাত জাহান লিমা মোস্তারী(২২) নামের এক কিশোরী।
ইসরাত জাহান লিমা মোস্তারী উপজেলার পালশা ইউপির আমড়া গ্রামের মোঃ ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে।
শনিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।
ইসরাত জাহান লিমার বাবা ইলিয়াস হোসেন জানান, তার ছোট মেয়ে ইসরাত জাহান লিমা অন্যান্য দিনের ন্যায় তাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করে নিজ শয়ন ঘরে শুয়ে পড়ে।তারপর ছোট মেয়ের পাঠানো ম্যাসেজ আমার বড় মেয়ে দেখার পর ভোর বেলা আমাকে অবহিত করলে,সাথে সাথে তার শয়ন ঘরে গিয়ে দেখি তার ঘরের দরজা বন্ধ এবং জানালা দিয়ে দেখতে পাই যে,তার মেয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থাায় আছে।পরে আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোক জন আসলে তাদের সহযোগীতায় ফাঁস হতে ঝুলন্ত দেহ নামালে দেখি যে,আমার মেয়ে মারা গেছে।
তিনি আরও জানান,অনুমান ৪ বছর প‚র্বে একই গ্রামের সেলিম রেজা নামের এক ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়।কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়।সেই থেকে তার মেয়ে নিজ বাড়িতে থেকে কলেজে পড়াশুনা করতে থাকে।তিনি আরও জানান,ছাড়াছাড়ি হওয়া পর, তার মেয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের ঘর আসলে তার প‚র্বের স্বামী আমার বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করতো এবং বিয়ের লোকজনসহ ঘটক কে ভয়ভীতি দেখাতো।যার কারণে তার অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া সম্ভব হত না।এ সমস্ত কারণ ছাড়াও তার মেয়ে বিভিন্ন কারণে অকারণে বিভিন্ন সময় মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে আতœহত্যা করতে পারে বলে তিনি জানান।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান,আলামতসহ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।কারণ অনুসন্ধান চলছে এবং ময়নাতদন্তের তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থাা নেয়া হবে।