মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট ( দিনাজপুর)ঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় আগামী ৪ অক্টোবর। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের উপর সরকারী ডাক বাংলোতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গত বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর রায় ঘোষণার তারিখ দিয়েছেন।
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি ডাক বাংলোতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল আটটায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থার অবনতি হলে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনওর বাসভবনের চাকুরিচ্যুত কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-৭-এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের কাছে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন রবিউল। পরদিন দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে ্অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
আদালত স‚ত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে প্রথম থেকে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়েছে।পরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
এ মামলায় ৫৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেয়া হয়। এক মাত্র আসামি রবিউল হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। তবে তার উপস্থিতিতেই আদালতে বিচারকার্য্য পরিচালনা করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page